নবান্ন থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ জন পড়ুয়াকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। তবে এখনও ৬৮ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী ইমফলে আটকে আছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে ১৮ জন (Central Agricultural University Imphal), আইআইটিতে ৫ জন (IIIT), এনআইআইটিতে ১৩ জন (NIIT), মণিপুর স্পোর্টস একাডেমিতে ১৪ জন, মণিপুর ইউনিভার্সিটিতে ৭ জন, জওহর লাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ৬ জন, রিজিয়নাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে (Regional Institute of Medical Science) ২৩ জন ছাত্র-ছাত্রী আটকে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “ আমরা মণিপুর সরকারকে অনুরোধ করেছি, সেফ প্যাসেজ দেওয়ার জন্য। যাতে তাঁদের আমরা নিরাপদে নিয়ে আসতে পারি। ইন্ডিয়ান আর্মি, আসাম রাইফেলস-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।” পুরো পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণের জন্য নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পাশাপাশি, মণিপুর থেকে কলকাতা হয়ে একাধিক পড়ুয়া নিজের রাজ্যে ফিরছেন। তাঁদের জন্যেও রাজ্যের তরফে সুব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় হল্ট দেওয়া তাঁদের জন্য ‘থাকা-খাওয়ার’ ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থানের অনেক ছাত্র-ছাত্রী কলকাতা হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
সল্টলেক স্টেডিয়াম বা ইয়ুথ হোস্টেলে তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের ১৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছেন, রাজস্থানের ৩০ জন আছেন, তেলেঙ্গানার ২৬ জন আছেন কলকাতাতে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে এই পড়ুয়াদের নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সোমবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানান, স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সকালে বিমানে তাঁদের ইম্ফল থেকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়। এরপরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাদের নিজেদের বাড়িতে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আটকে থাকা পড়ুয়াদের পরিজনেরা নবান্নে চালু হওয়া হেল্প লাইনে ফোন করে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপরেই এই পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে। মণিপুরের দুই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে চূড়ান্ত অশান্তি হয় মণিপুরের একাধিক জায়গায়। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।