Fish Farming: বাড়িতেই মাছ চাষ, পথ দেখাচ্ছে রোজগারের!
ঠিক কী অভিযোগ বা তথ্য সামনে আসছে?
একটি প্রথম শ্রেণির দৈনিকে প্রথম প্রকাশিত হয়, গত এক বছরে ময়না ব্লকে ৬০ বছরের নীচে তিনশো মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারকে নিয়ম মাফিক আর্থিক সাহায্যও তুলে দিয়েছে কৃষি দফতর। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হৃদরোগে-ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে মৃত্যুর হার এতটা বেড়েছে বলেছে বলে জানা যায়। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই গোটা ময়নায় তোলপাড় পড়ে যায়। শুধু ময়না নয়, মাছ চাষিদের যদি এই হাল হয়, মাছ খেয়ে সাধারণ মানুষের কী হবে, তা নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়।
মাছ চাষ ও রাসায়নিকে ব্যবহার
মাছের খাবারের মধ্যে ফ্লোরাইড, আর্সেনিক, সীসা সহ আরও বেশ কিছু মেশানো হয়ে থাকে। লক্ষ্য, দ্রুত মাছ বড় করা। ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানোয় জমির পিএইচ মাত্রা অস্বাভাবিক হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ জলস্তর এই মুহূর্তে ‘ক্রিটিক্যাল’ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে এই ব্লক। মাটির জলও যে অনেকটাই বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
মাছে ‘ময়না মডেল’ ইতিহাস
ময়নার ব্যাপক হারে মাছ চাষের জন্যই শুরু হয় ময়না মডেল। এই এলাকায় নীচু জমিতে মাছের চাষ করেন মৎস্য্যজীবীরা। ৪-৫ হেক্টর আয়তনের পুকুরে মাছ চাষ হয়। পুকুরের গভীরতা ১-২ মিটার হলেই চলে। ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের ছোট ছোট মাছ পুকুর থেকে নিয়ে ছাড়া হয় বড় জলাশয়ে। সেখানে অক্সিজেনের জোগান বেশি পেয়ে মাছেদের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হয়।
Nandigram: জীবন রাঙাতে রঙিন মাছ চাষ, তাক লাগাচ্ছে ষাটোর্ধ্ব মনোরমা
ময়নার অভিযোগ নিয়ে কী বলছে দফতর?
জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা সৌরিন্দ্রনাথ জানার সঙ্গে এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ ৩০০ জন মৎস্য চাষির মৃত্যুর বিষয়টি একেবারেই ভুল। আমরা দফতরকে বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট পাঠিয়েছি।’ দফতরের এক কর্তা বলেন, এক বছরে চাষি মৃত্যুর তথ্য-পরিসংখ্যান ঠিক, তবে তাঁরা সবাই মৎস্য চাষি নয়। কিন্তু, রাসায়নিক ব্য়বহারের কারণে মৃত্যুর বিষয় নিয়ে গভীর পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে, তা এখনই ঠিক না ভুল বলা যাবে না।