মৃত ওই ব্যক্তির নাম মজিবুর রহমান (৪৩)। তার বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানার ভাসাইপাইকর এলাকায়। সামশেরগঞ্জের ভাসাইপাইকরে শান্তি কমিটির লোকজনের প্রবল মারধরের জন্যই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তি কমিটির কর্মকর্তারা।
মৃতের পরিবারের এক সদস্য এই বিষয়ে জানান, “বেশ কিছুদিন ধরেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি মজিবুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার রাতে মদ খাওয়ার কারণে হঠাৎ করে মজিবুরের বাড়িতে ঢুকে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটির কয়েকজন সদস্য।”
অভিযোগ, রাতেই শান্তি কমিটির লোকজন ব্যাপক মারধর করে ওই ব্যক্তিকে। মারের চোটে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলেও যায়। তারপর আবগারি দফতরের মাধ্যমে সামশেরগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবার থেকে জেল হেফাজতেই ছিলেন ওই ব্যক্তি।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তাদের ফোন করে জানানো হয় মজিবুর রহমান মারা গিয়েছেন। জেলের ভিতরে বন্দির মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। যদিও জেল সূত্রে খবর, জঙ্গিপুর জেলে থাকাকালীন সময়েই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই বন্দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার। এদিকে পুলিশ থাকতে সামশেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “মদ খাওয়া অন্যায় হয়ে থাকলে সেটা পুলিশ ধরবে। কিন্তু শান্তি কমিটি কোন অধিকারে একজন ব্যক্তিকে এভাবে মারধর করতে পারে? পুলিশ থাকতে কেন আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে শান্তি কমিটি?”
উঠছে প্রশ্ন। শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটির কর্তৃপক্ষ। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন শান্তি কমিটির অন্যতম কর্তা মরজেম হোসেন।
তিনি বলেন, “আমরা কাউকে কোনও মারধর করিনি। শুধু মদ খাওয়ার কারণে আবগারি দফতরের হাতে ওই ব্যক্তিকে তুলে দিয়েছিলাম।” এদিকে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।