Paschim Medinipur News : হাসপাতালে বেড নেই, হন্যে হয়ে ঘুরছে অসুস্থ খুদে শিবম – there are no beds in the hospital paschim medinipur parents could not treat their child


এই সময়, মেদিনীপুর: বারবার স্ট্যাম্প পড়ে, ‘রিগ্রেট নো বেড’। আর ছেলেকে নিয়ে ফের একবার ঘরে ফিরতে হয় বাবা-মাকে। খালি হাতে, ভগ্ন হৃদয়ে। অধরা থাকে চিকিৎসা। ক্ষয়ে আসে আশা। মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুরি গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর বিমল দোলই ও মল্লিকা দোলইয়ের বছর চারেকের সন্তান শিবম দোলই ছোট থেকেই অসুস্থ। চলতি কথায়, হার্টে ফুটো রয়েছে তার। পরিবারের অভিযোগ, রোগ ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শমতো মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, দেপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে বারবার হন্যে হয়ে ঘুরেও কোনও চিকিৎসা পায়নি শিশুটি।

E-Prescription : সব সরকারি হাসপাতালেই চালু হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশন
চার বছর ধরে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাবা-মা। তাই সংবাদমাধ্যমের মারফত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছেন অসহায় বাবা-মা, ‘চোখের সামনে আর দেখতে পারছি না। দিনে দিনে বাচ্চা আমার নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। দিদি, একটা কিছু ব্যবস্থা করুন। আমার বাচ্চার চিকিৎসার সুযোগ করে দিন। আমরা অন্য কিছু চাই না।’

অসুস্থ শিবমের মা মল্লিকা দোলই বলেন, ‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছেলেকে পাঠাতাম। বেশ কিছুদিন আগে ওখানেই অসুস্থতা ধরা পড়ে। তারপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেন। কলকাতার পিজি হাসপাতাল, মুকুন্দপুর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়েছি। কোনও চিকিৎসা হয়নি। ডাক্তারবাবুরা বলেছেন ছেলের হার্টে ফুটো আছে। অপারেশন করাতে হবে।

Bankura News : ৬ মাস পর পরিবার ফিরে পেল অসমের ইসমাইল! বাঁকুড়া হাসপাতালকে সাবাশি সকলের
কিন্তু অপারেশন হচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে বেড নেই বলে, বারবার আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দিনে দিনে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে ছেলে। আর দেখতে পারছি না। চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য দুয়ারে পিজির ডাক্তাররা আসছেন। কিন্তু আমরা বারবার ছুটেও কেন ছেলের চিকিৎসা পাচ্ছি না? আমাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও আছে। তবু কেন অপারেশন হচ্ছে না? কোথায় যাব, কাকে বলব কিছুই বুঝতে পারছি না।’

Brain Surgery Of Baby Inside Womb : মিরাকল! বিশ্বে প্রথমবার মায়ের পেটেই ভ্রুণের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার
বিমল দোলই বলেন, ‘মেদিনীপুর থেকে বারবার পাঠানো হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালে। ৮-৯ বার পিজি হাসপাতালে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে গিয়েছি। প্রতিবারেই প্রেসক্রিপশনের ‘রিগ্রেট নো বেড’ স্ট্যাম্প লাগিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর পারছি না। অবশেষে গত ৪ মে ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করছি, আমার ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিন। আমাদের ছেলেটাকে বাঁচান। চোখের সামনে আর দেখতে পারছি না।’

Balughat District Hospital : ময়নাতদন্তেও ‘রেফার’ রোগ! সরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ ছবি বালুরঘাটে
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, ‘শিশুটির ক্ষেত্রে ঠিক কী সমস্যা আছে, তা দেখতে হবে। গোটা রাজ্যের হার্টের সমস্যা নিয়ে শিশুরা পিজিতে আসে। সেখানে গুরুত্ব অনুযায়ী অপারেশনের সময় দেওয়া হয়। এই শিশুটির ক্ষেত্রে কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *