সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে ফোনে এই সময় ডিজিটাল দেওয়া প্রতিক্রিয়ার রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। কোনও শিল্পকর্মের বিরোধিতা করতে গেলে, তার পালটা তথ্য প্রচার করতে হয়। নিষিদ্ধ করলে সেই শিল্পকর্মের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারে সাহায্য করা হয়। মানুষের মনে হবে, নিশ্চয়ই এমন কিছু আছে, সেই কারণে এই ছবি দেখতে দেওয়া হচ্ছে না।’
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সিপিএমকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে বিজেপি, সেই কারণে কেরলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই নিয়ে বিকাশ বলেন, ‘আরএসএসের নির্দেশে মমতা এই কাজ করেছেন। এর ফলে ছবিটার প্রচার বাড়বে, এবং তা আরও বেশি ব্যবসা করবে। ছবি ব্যান করার পক্ষপাতী আমরা নই।’
বিজেপি নেতা তথা টলিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও এই নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন। রুদ্রনীল এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘যে শাসকদল মানুষে ডিএ, চাকরি থেকে শুরু করে শান্তি চুরি করে নিয়েছেন, তাঁরা বলছে এই ছবি রাজ্য নাকি অশান্তি তৈরি করবে। সারা দেশে এই ছবি নিয়ে কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই এই কাজ করা হয়েছে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের এখন আর ভুল বোঝানো যাবে না। তাঁদের চোখ খুলে গিয়েছে। এটা মুখ্যমন্ত্রী কুম্ভীরাশ্রু ছাড়া আর কিছুই নয়।’
রুদ্রনীল আরও বলেন, ‘তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে যে বোঝাপড়া রয়েছে, তাও ছবি ব্যানের পিছনে অন্যতম কারণ। ভারতে ধর্মান্তকরণের বিভিন্ন ঘটনা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসন কত মানুষের প্রাণ নিয়েছে, তাও এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। তা ঢাকার চেষ্টাও ছবি নিষিদ্ধ করার অন্যতম কারণ।’