WB Govt Banned The Kerala Story বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করল রাজ্য সরকার। এই ছবি এরাজ্য প্রদর্শন করতে দেওয়া হবে না, বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় এই ছবি এই ছবি প্রদর্শন হচ্ছে কিনা. তা খোঁজ নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘৃণা ছড়ায় এমন কোনও ছবি প্রদর্শন করতে দেওয়া হবে না। তাঁর মতে এই ছবির কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, এমন কোনও বিষয়কে সুপ্রিম কোর্ট প্রশয় না দিতে বলেছে বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোনও সিনেমা হলে এই ছবি চললে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তাঁকে সাংবাদিকরা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে মমতা বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল আগুন নিয়ে খেলছে। জাতিগত ও ধর্ম নিয়ে বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি করার জন্যই এই ধরনের ছবি বানানো হয়েছে। কেন দ্য কাশ্মীর ফাইলস তৈরি হল? কেন দ্য কেরালা স্টোরি বানাল?’
কোনও সিনেমা হলে এই ছবি চললে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তাঁকে সাংবাদিকরা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে মমতা বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল আগুন নিয়ে খেলছে। জাতিগত ও ধর্ম নিয়ে বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি করার জন্যই এই ধরনের ছবি বানানো হয়েছে। কেন দ্য কাশ্মীর ফাইলস তৈরি হল? কেন দ্য কেরালা স্টোরি বানাল?’
দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে মুখ খুলে এদিন সিপিএমকেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সিপিএম শাসিত রাজ্য নিয়ে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে। সেই সিপিএমই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে। এটা আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।’ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে করে মমতা বলেন, ‘কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। আপনার দল বিজেপির সঙ্গে কীভাবে হাত মেলায়? বিজেপির টাকাতেই কেরালা স্টোরির মতো বিকৃত সিনেমা দেখানো হচ্ছে।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘এই রাজ্যে যাঁরা অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছেন, তারাই এখন হিংসা রুখতে এই সিনেমা নিষিদ্ধ করেছে। কোনও রাজ্যে কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি এই ছবি নিয়ে। যাঁরা এই রাজ্যে অশান্তি করে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে, তাঁরার এই ছবি নিষিদ্ধ করল।