Anubrata Mondal : দলীয় অ্যাকাউন্ট মারফত সাদা হয়েছে গোরুর পাচারের টাকা? অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক ED – ed claims black money of cattle smuggling became white by trinamool congress party bank account


গোরু পাচারকাণ্ডে জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ভাগ্যের ফেরে তিনি এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা চার্জশিটে ইডির দাবি করেছে, দলের নামে খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই গোরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হত।

Anubrata Mondal : জেলা পরিষদে ‘কাটমানি’ আদায়! চার্জশিটে অনুব্রতর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি ED-র
ইডির কাছে ঠিক এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পার্টি অফিসের কর্মী শ্যামাপদ কর্মকার। আদালতে ইডির পেশ করা ২০৪ পাতার চার্জশিট থেকে এই তথ্যই সামনে এসেছে। আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, শ্যামাপদ মজুমদারে নামেও সম্পত্তি রয়েছে।

প্রতি বছর যে কোনও ভোটের সময় দেওয়া লিখনের কাজ করেন শ্যামপদ। গোরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে শ্যামাপদকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২২ মার্চ শ্যামাপদ কর্মকার ইডির কাছে বয়ান দিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে দলের নামে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেই অ্যাকাউন্টে তাঁর নামও ছিল বলেই জানিয়েছেন শ্যামাপদ।

Anubrata Mondal : স্বজনরাই বলছেন কেষ্ট নাকি কুজন!
ইডির দাবি, শ্যামপদ জানিয়েছেন, ওই ব্যাঙ্কে তাঁর সঙ্গে তাপস মণ্ডলেরও নামে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। মূলত অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নির্দেশেই খোলা হয়েছিল অ্যাকাউন্টগুলি। শ্যামাপদ, কাউন্সিলর ওমর শেখ সহ আরও কয়েকজন সায়গলের নির্দেশে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছেন। প্রায়ই ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা জমা করা হত বলে ইডিকে জানিয়েছেন শ্যামাপদ। ইডি দাবি করেছে, এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দুটির চেকবুক অনুব্রত ও সায়গলের কাছে থাকত।

ইডি আধিকারিকদের অনুমান, দলের নামে খোলা ওই অ্যাকাউন্ট থেকেও কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত গোরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে সিউরি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ভুরি ভুরি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পায় সিবিআই। সরকারি প্রকল্পের নামে জমা নেওয়া নথি ব্যবহার করে সেই ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকউন্টগুলি খোলা হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেও গোরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Anubrata Mondal Daughter : টাকা খাটানোর প্ল্যান সুকন্যারই, দাবি করল ইডি
উল্লেখ্য গোরু পাচারকাণ্ডে ২০২২ সালে ১১ অগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরবর্তীকালে তাঁকে নিজেদর হেফাজতে নেয় ইডি। দীর্ঘদিন ধরে আসানসোল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা পরবর্তীকালে তাঁকে দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে ইডি। আদালতের অনুমতিতে তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *