মমতার রবিস্মরণ
কবিস্মরণের সময়ই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কিছু বলা আমাদের শোভা পায় না। যে কবি আমাদের প্রাণের কবি, যে কবি আমাদের বিশ্বের ছবি দেখিয়েছেন, যে দেশকে স্বাধীনতা আন্দোলন, নবজাগরণ দেখিয়েছেন, বিভেদের বিরুদ্ধে যে রুখে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। জীবনের প্রতিটি স্পন্দে রবীন্দ্রনাথকে পাবেন। জন্ম থেকে মৃত্যু, শান্তি থেকে সংস্কৃতি, সবেতেই রবীন্দ্রনাথ রয়েছেন।”
মোদী-শাহকে কটাক্ষ মমতার
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামেও তিনি কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিন তাঁর নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “আজ আমাদের শপথ নেওয়ার পালা। যে আদর্শ নিয়ে কবিগুরু বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, যে আদর্শ নিয়ে তিনি গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছেন, সেই আদর্শ থেকে আমরা যেন কখনও বিচ্যুত না হতে পারি। আমরা যেন কখনও নিজেদের আত্ম অহংকারী না ভাবি। আমরা যেন কখনও না ভাবি, নির্বাচনের প্রয়োজনে পাঁচ টাকায় কাউকে কাউকে দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়। এমনকী ভুল করে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান এ কথা বলা যায়। বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলে যায়।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের প্রয়োজনে না জেনে লিখে নিয়ে এসে অথবা টেলিপ্রম্পটারে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। কিন্তু, আমি বলব, হৃদয়কে মুক্ত রাখুন। হৃদয় থেকে রবি আরাধনা হোক, রবি বন্দনা হোক। তবেই তো রবীন্দ্রনাথকে আমরা জানতে পারব। তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, কলমের মাধ্যমে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।” সবশেষে তিনি বলেন, “আমরা ভাঙতে চাই না গড়তে চাই। সংকীর্ণতার প্রাচীর ভাঙতে চাই। তাইতো কবি লিখে গিয়েছেন, চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির।”