সোমবার রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার দোগাছি সাকারঘাট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই যুবকের বাড়ি সাকারঘাট এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাড়িতে ভাত রান্না করছিলেন জোবের আলমের স্ত্রী।
হঠাৎই অসাবধানতাবশত গ্যাসে আগুন ধরে যায়। সে সময় বাড়ির পাশেই থাকা দোকানে বসেছিলেন জোবের আলম। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রান্নাঘরে ছুটে যান তিনি। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জোবের আলম নামে ওই যুবকের। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছে, সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা নাগাদ জোবের আলমের স্ত্রী রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। সেই সময় গ্যাসে আগুন ধরে যায়। জোবের আলমের স্ত্রী আগুন দেখে ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। সেই চিৎকার শুনেই জোবের আলম ছুটে যান। প্রথমে একটি চট জোগাড় করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সেই সময়ই হঠাৎ সশব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি ফেটে যায়।
ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ” ও আগুন নেভাতেই গিয়েছিল। স্ত্রী চিৎকার শুনেই ও মুদিখানার দোকান ছেড়ে ছুটে যায়। একটি চট দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তখন বুঝতে পারেনি, হঠাৎ সিলিন্ডারটি ফেটে যায়।” পরে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মর্মান্তিক ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে। নতুন গ্যাস চেক করার সময় আগুন লাগে রান্না ঘরে। সেই ঘটনায় গ্যাস ডেলিভারি বয় সহ একই পরিবারের তিনজন অগ্নিদগ্ধ হন৷ পুরো রান্না ঘরে নিমেষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় পরিবারের কর্তা রণজিৎ সাহার মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে তাঁর পুত্রের মৃত্যু হয়।