Nadia News : বাবার মৃত্যু, মৃতদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষায় বসল মেয়ে – after the death of the father the daughter left the dead body at home and went for the neet examination


এই সময়, কৃষ্ণনগর: ভোরবেলা মারা গিয়েছেন বাবা। মন শক্ত করে বাড়িতে মৃতদেহ রেখেই ‘নিট’ পরীক্ষা দিতে গেলেন মেয়ে। সন্ধেয় ফিরে বাবার দেহ নিয়ে গেলেন শ্মশানে। এতক্ষণে বেরিয়ে এল বুকফাটা কান্না। বাবা চাইতেন তাঁর একমাত্র মেয়ে আগামীতে যেন ডাক্তার হতে পারে। মুখাগ্নির আগে বাবার পা দু’টো শেষবারের মতো ছুঁয়ে মেয়ে হয়তো সেই আশীর্বাদই চাইলেন মেয়ে। নদিয়ার চাকদহের উত্তর ঘোষপাড়া ক্ষুদিরামপল্লির ঘটনা।

Anis Khan : স্ত্রীর মুখে হারপিক! বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের কাকা-ভাই
প্রয়াত হারাধন ভট্টাচার্য স্থানীয় বালিয়া কামদেবপুর জুনিয়র হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অসুস্থতার জেরে রবিবার বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। হারাধনের স্ত্রী কবিতা সিংহ রায় বর্তমানে চাকদহ বাপুজি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তাঁদের একমাত্র মেয়ে মোহর। কবিতা বলেন, ‘ওর বাবার ইচ্ছে, মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবেন। তারই প্রস্তুতি নিতে রাজস্থানের কোটার একটি নামি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দিয়েছিলেন।’

Success Story: হাসপাতালে ক্যানসার আক্রান্ত বাবার পাশে থেকে প্রস্তুতি, মাত্র 22 বছরেই IAS অফিসার রিতিকা জিন্দাল
মোহর বলেন, ‘এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে রাজস্থান থেকে বাড়ি এসেছিলাম। বাবার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। হাসপাতালে ছুটোছুটি চলে। চিকিৎসকের পরামর্শে শেষে বাড়িতে এনেছিলাম।’

Malda News : ৮ মিনিটে ৫০ টি কবিতা পাঠ করে নজির, মালদার মাহফুজ পেল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের স্বীকৃতি
বাবার অসুস্থতার জেরে পরীক্ষার প্রস্তুতি মাথায় ওঠে মোহরের। শনিবার বাড়াবাড়ি হওয়ায় সারা রাত জেগেই কাটান মা-মেয়ে। রবিবার সকালে মারা যান হারাধনবাবু। ডাক্তার ঘোষণা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন কবিতা। কিন্তু এক ফোঁটা কাঁদেননি মোহর। রবিবারই ছিল নিট পরীক্ষা। কল্যাণীতে পরীক্ষাকেন্দ্র। এসি ঘরে বাবার মৃতদেহ রেখে পরীক্ষা দিতে যান তিনি। কবিতা বলেন, ‘আমিও তাতে সায় দিয়েছিলাম। সন্ধেয় বাড়ি ফিরে প্রথমে বাবার দু’পা ধরে মিনিট দশেক কেঁদেছে মেয়ে। তারপর শ্মশানে নিয়ে গিয়ে বাবার মুখাগ্নি করেছে।’

Nadia News : জামা কেনা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য, জন্মদিনেই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নদিয়ায়
মোহর বলেন, ‘বাবা যদি সুস্থ থাকতেন, আমাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে যেতেন। বাবার স্বপ্ন ও ইচ্ছেকে মর্যাদা দিতে চেয়েছি। পরীক্ষার ফল কী হবে জানি না। প্রয়োজনে পরের বারও বসব এই পরীক্ষায়।’

চাকদহের পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস বলেন, ‘শোক চেপে রেখেও বাবার ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে মেয়েটি যেভাবে পরীক্ষায় বসেছে তা প্রায় বিরল দৃশ্য। পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।’ মোহরকে কুর্নিশ জানিয়েছেন জেলাবাসী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *