আগে বদলির জন্যে রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করতে হতো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। আদালত মনে করছে, এই পরিষেবার অপব্যবহার হয়েছে। বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, ওই পোর্টালের মাধ্যমে পছন্দসই স্কুলে বদলি নিতেন শিক্ষকরা। এর পিছনে দুর্নীতিও কাজ করেছে। এই সমস্যা থেকে বেরোনোর জন্যে কিছু দিন আগে নতুন বদলি-নীতিতে জোর দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে শিক্ষক বদলিতে নতুন নিয়ম আনে রাজ্য। সেই নিয়ম নিয়ে শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
রাজ্যের নতুন নিয়মে অসন্তোষ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন শর্মিষ্ঠা চন্দ্র-সহ কয়েক জন। তাঁদের বক্তব্য, নতুন নিয়মের পদ্ধতি ঠিক নয়। চাকরি দেওয়ার সময়ে একটি স্কুল বেছে নিতে বলা হয়েছিল। এখন অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে। অসুবিধায় পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কাউকে কাউকে জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, এমনকী দূরের জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিচারপতি বসুর বক্তব্য, স্কুলে পড়ুয়া এবং শিক্ষক অনুপাতে ভারসাম্য আনার জন্যেই বদলিতে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা নিয়ে আদালত চিন্তিত। যে সব স্কুলে পড়ুয়া বেশি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা কম–সেখানে বদলি করলে যেতেই হবে। অন্য চাকরির ক্ষেত্রে বদলিতে সমস্যা হয় না। শুধু শিক্ষকরা কেন সুবিধামতো জায়গায় চাকরি করবেন?
তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকরা নতুন নিয়ম না মেনে চললে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশ না মানলে চাকরি জীবনে ছেদও পড়তে পারে। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘শিক্ষকদের এই নিয়মের বিরোধিতা আদালতের কাছে চিন্তাজনক। নতুন নিয়মে কোন ত্রুটির জন্যে ক্ষোভ, তা খতিয়ে দেখবে আদালত। এ বিষয়ে এজি’র কাছে জানতে চাওয়া হবে।’
