Teacher Transfer : বদলি না মানলে শিক্ষকদের চাকরিতে ছেদ, বার্তা কোর্টের – if the transfer is not accepted the job of the teachers will be terminated said by calcutta high court


এই সময়: বদলির নির্দেশ না মানলে চাকরিজীবনে ছেদ পড়বে। নতুন নিয়মে বদলির নির্দেশ না মানতে চাওয়ায় কিছু শিক্ষকের উদ্দেশে সোমবার এমনই সতর্কবাণী শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর পর্যবেক্ষণ, বদলির নতুন নিয়ম নিয়ে প্রচুর মামলা দায়ের হয়েছে। বদলি-নীতিতে কোথাও ত্রুটি রয়েছে কিনা, তা-ও অবশ্য জানতে চেয়েছে আদালত। এ জন্যে পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-কে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। বুধবার হবে পরবর্তী শুনানি।

Calcutta High Court : স্কুলে পড়িয়ে টিউশন? তিন মাসে ব্যবস্থা: কোর্ট
আগে বদলির জন্যে রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করতে হতো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। আদালত মনে করছে, এই পরিষেবার অপব্যবহার হয়েছে। বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, ওই পোর্টালের মাধ্যমে পছন্দসই স্কুলে বদলি নিতেন শিক্ষকরা। এর পিছনে দুর্নীতিও কাজ করেছে। এই সমস্যা থেকে বেরোনোর জন্যে কিছু দিন আগে নতুন বদলি-নীতিতে জোর দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে শিক্ষক বদলিতে নতুন নিয়ম আনে রাজ্য। সেই নিয়ম নিয়ে শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

Recruitment Scam : ‘স্কুলে ও পুরসভায় দুর্নীতি মিলেমিশে’
রাজ্যের নতুন নিয়মে অসন্তোষ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন শর্মিষ্ঠা চন্দ্র-সহ কয়েক জন। তাঁদের বক্তব্য, নতুন নিয়মের পদ্ধতি ঠিক নয়। চাকরি দেওয়ার সময়ে একটি স্কুল বেছে নিতে বলা হয়েছিল। এখন অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে। অসুবিধায় পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কাউকে কাউকে জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, এমনকী দূরের জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Justice Rajasekhar Mantha : ‘৫৩ জন বিচারপতি আছেন, এই এজলাসে দীর্ঘ শুনানির সময় নেই’, শুভেন্দুর ২ মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি মান্থা
বিচারপতি বসুর বক্তব্য, স্কুলে পড়ুয়া এবং শিক্ষক অনুপাতে ভারসাম্য আনার জন্যেই বদলিতে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা নিয়ে আদালত চিন্তিত। যে সব স্কুলে পড়ুয়া বেশি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা কম–সেখানে বদলি করলে যেতেই হবে। অন্য চাকরির ক্ষেত্রে বদলিতে সমস্যা হয় না। শুধু শিক্ষকরা কেন সুবিধামতো জায়গায় চাকরি করবেন?

Teacher Recruitment : সুপ্রিম নির্দেশে স্কুলে ফিরছেন কর্মচ্যুতরা
তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকরা নতুন নিয়ম না মেনে চললে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশ না মানলে চাকরি জীবনে ছেদও পড়তে পারে। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘শিক্ষকদের এই নিয়মের বিরোধিতা আদালতের কাছে চিন্তাজনক। নতুন নিয়মে কোন ত্রুটির জন্যে ক্ষোভ, তা খতিয়ে দেখবে আদালত। এ বিষয়ে এজি’র কাছে জানতে চাওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *