হুগলি জেলার চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে তৃণমূলের একটি সভা থেকে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “চামরা গুটিয়ে দেব, কারণ আমাদের অনেক কর্মীর রক্ত গিয়েছে। ২০১১ তে কিছু বলিনি, ২০১৬ সালে কিছু বলিনি, ২০২১ এও কিছু বলিনি। বলার সময় বলব।”
বিরোধীদের আক্রমণ করে তাঁর বক্তব্য, ২০১১ র আগে অন্তত ১০০ বুথে আমাদের এজেন্ট উঠে যেত আটটায়। আর এখানে ওই বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস ডায়াস ভাগাভাগি করছে। এদিন তিনি বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “ভালো সাজার দরকার হলে ঘড়ির মোড়ে আসে লকেট। না হলে চুঁচুড়ার মানুষ দেখে না। সেজেগুজে আসে আর বলে ইডি যাবে, সিবিআই যাবে যেন ওর বাপের জমিদারি। ইডি আর সিবিআই দিয়ে সারা ভারতবর্ষ চালাবে।”
হুগলির বিধায়ক অসিত মজুমদারের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে জেলা বিরোধী নেতৃত্ব। গুপ্তিপাড়ায় সভা করতে এসে অসিত মজুমদারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “যদি এমন বলে থাকেন তাহলে পুলিশের উচিত তাঁকে জিজ্ঞাসা করা। নির্বাচনের আগে কেন এ ধরনের কথা বলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন।”
অন্যদিকে, হুগলির বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, “বিধায়কের এই ধরনের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার মানুষের রায়ের উপর তাঁদের আস্থা নেই। দলের কর্মীদের সেই বার্তাই দিচ্ছেন যে নির্বাচনে সন্ত্রাস করতে হবে। তবে বিজেপিও প্রস্তুত আছে কে কার চামড়া গুটিয়ে নেয় সেটা সময় বলবে।”
পাশাপাশি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে অসিত মজুমদারের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, ” ওঁর সম্পর্কে এর আগেও কুরুচিকর কথা বিধায়ক বলেছেন। এটা ওদের দলের সংস্কৃতি।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপরেই লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায় বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। অসিত বলেন, “লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন আমি চাকরি কিনেছি। তিনিই এর ব্যাখ্যা দেবেন ৷” লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ‘একজন অসভ্য মহিলা’ বলেও আক্রমণ করেন প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক ৷