Uttar 24 Pargana : বিড়ি বেঁধে রোজগার, সম্বল কালো ত্রিপলে ঘেরা ঘর! ‘সততার প্রতীক’ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান – bashirhat trinamool congress panchayat pradhan suparna das binds biri as her profession good news


রাজ্যজুড়ে আবাস যোজনা সহ একাধিকক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক জলঘোলাও হয়েছে। দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যেও খানিক আলাদা বসিরহাটের সুপর্ণা দাস। তিনি বসিরহাট ১ ব্লকের নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কোদালিয়ার বাসিন্দা। তৃণমূলের পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান হলেও এখনও কালো ত্রিপলের ঝুপড়িতেই বসবাস করেন সুপর্ণা।আবাস যোজনার তালিকায় নাম এসেছিল। কিন্তু নিজেই তা বাদ দেন সুপর্ণা। বিড়ি বেঁধেই স্বামী-সংসার নিয়ে দিন কাটছে তাঁর। সুপর্ণার স্বামী নিত্য দাস সেলুনে কাজ করেন বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূলকর্মী হিসেবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে।

TMC Clash : পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব দলের কর্মীরাই, অভিষেকের সফরের আগে শোরগোল
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং সংসদ, ৭৬ নম্বর বুথ থেকে জয়ী হন তিনি। পরে সুপর্ণা দাসকে প্রধান হিসাবে মনোনীত করে দল। স্বামী নিত্য দাস তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। স্ত্রী পঞ্চায়েতের প্রধান হলেও তিনি একটি সেলুন চালান।

কয়েকমাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। সেখানে প্রায় পাঁচ বছর পঞ্চায়েতে প্রধান হিসাবে দায়িত্বে থেকেও শক্তপোক্ত বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। কালো ত্রিপলের তলায় কার্যত ঝুপড়ি বাড়িতে দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে থাকেন সুপর্ণা। ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাজ সেরে বসেন বিড়ি বাঁধতে।

Nadia News : পানীয় জলের সংকট থেকে বাসস্থানের অভাব, চরম দুর্দশায় দিন কাটছে নদিয়ার এই গ্রামের বাসিন্দাদের
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সুপর্ণা দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে আমি সামান্য সাম্মানিক পাই। স্বামীর সেলুন আছে। আমি বিড়ি বেঁধে যে টাকা পাই তাতেই কষ্টশিষ্টে সংসার চলে যাচ্ছে। আমার নিজের বাড়ি বলতে কালো ত্রিপল। আবাস যোজনায় আমার নাম এসেছিল, কিন্তু আমি তা নিই নি। আমার থেকে অনেকে এই এলাকায় গরিব রয়েছেন। তাঁরা বাড়ি পেলে আমার ভালো লাগবে।’

সুপর্ণা আরও বলেন, ‘আমি পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে স্কুলছুটদের স্কুলমুখী করেছি। মহিলাদেরও বিভিন্নভাবে স্বনির্ভর করতে ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় অনেক কাজ করতে পরেছি। তবে যতদিন বাঁচব কষ্ট সত্ত্বেও মানুষের কাজ করব।’ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শাহারুপ মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের প্রধান অত্যন্ত দরিদ্র। বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। স্বামীর একটি ছোট্ট সেলুন আছে। আমরা ওনার জন্য গর্বিত।’

Nadia News : প্রেমের সালিশি করতে গিয়ে বেকায়দায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী, হইচই শান্তিপুরে
স্থানীয় বাসিন্দারাও পঞ্চায়েত প্রধানের মনোভাবে খুশি। তাঁদের দাবি, যেখানে গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেখানে সুপর্ণার মতো একজন সৎ ও কর্মঠ পঞ্চায়েত সদস্যের দেখা মেলা বিরল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *