অর্ণবাংশু নিয়োগী: দাঁড়িভিটকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ। দাঁড়িভিটে স্কুলে গুলি ও সেই গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে দাঁড়িভিট হাইস্কুলে গুলিতে মৃত্যু হয় ২ ছাত্রের। অভিযোগ করা হয়, গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের। এনআইএ তদন্তের পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
ঘটনা ২০১৮ সালের। বাংলার শিক্ষকের দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল স্কুলে। সেই বিক্ষোভেই গুলি চলে। গুলিতে মৃত্যু হয় দুই ছাত্রের। স্থানীয়রা অভিযোগ করে পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পাশাপাশি, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত। পুলিসের গুলি চালনা-ই শুধু নয়, দাঁড়িভিটে বোমা বিস্ফারণের অভিযোগও ছিল। সেই কারণেই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিস গুলি চালায় বলে অভিযোগ ছিল গ্রামবাসীদের। যদিও গুলি চালানোর কথা এখনো স্বীকার করেনি পুলিস। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও সরকারের তরফে অভিযোগ ছিল, গোটা ঘটনায় মদত রয়েছে আরএসএস ও বিজেপির। প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে দাঁড়িভিট হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে৷ এখনও পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিস-ই ওই তদন্ত করছে।
এদিকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের বাবা লকমল সরকার ও বাদল বর্মণ পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভীষণ খুশি মৃত ছাত্র রাজেশের পরিবার। তারা আশাবাদী এবার তাদের ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিরা সাজা পাবে। অন্যদিকে, এদিন হাইকোর্টের এনআইএ তদন্তের নির্দেশের খবর তাপসের বাড়িতে পৌঁছাতেই, চোখের জল আটকাতে পারেননি নিহত তাপসের মা।
আরও পড়ুন, বোনের জামায় লেগে প্রথম পিরিয়ডের রক্তের দাগ! দাদার হাতে নির্মম পরিণতি ১২ বছরের কিশোরীর