কিরণ মান্না: বাস দুর্ঘটনায় তোলপাড় নন্দীগ্রামের ঠাকুরচকে। দুটি বাসের মধ্যে পড়ে পিষে গেল যাত্রীভর্তি ট্রেকার। ঘটনাস্থলেই নিহত ১ জন। আহত ৬৫ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৭ জন। স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়া ঠাকুরচকে।
আরও পড়ুন-আগামী সপ্তাহেই প্রকাশিত হচ্ছে মাধ্যমিকের ফল, দিনক্ষণ জানালেন ব্রাত্য বসু
বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছিল একটি বাস। সেইসময় উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি ট্রেকার। বাসটি সরাসরি ট্রেকারটিকে ধাক্কা মারে। আর সেইসময় ট্রেকারটিকে পেছনের দিকে ধাক্কা মারে অন্য একটি বাস। ফলে দুই বাসের মধ্যে পড়ে পিষে যায় ট্রেকারটি। বাস ও ট্রেকারের মধ্যেকার যাত্রীরা ভেতরে তালগোল পাকিয়ে যান। ট্রেকারের চালক চালকের আসনে আটকে যান। ঘটনাস্থলেই এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। ট্রেকারের যাত্রীদের গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাসল যাত্রীদেরও রক্তাক্ত অবস্তায় নেমে আসতে দেখা যায়।
এখনওপর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে মোট ১৭ যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে ৪ জনকে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসের সঙ্গে আটকে যাওয়া ট্রেকারটিকে বের করার জন্য পে লোডার নিয়ে আসা হয়। ট্রেকারের স্টিয়ারিং এসে বসে যায় চালকের বুকে। সেই স্টিয়ারিং কেটে তাকে বের করা হয়। তাকে পাঠানো হয়েছে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ট্রেকারের সিটগুলো পেছন থেকে এসে যাত্রীদের চাপা দিয়ে দেয়। জানা যাচ্ছে ১৮ যাত্রী ছিল ট্রেকারটি।
এক বাসযাত্রীর দাবি, বেশকিছুক্ষণ করেই অসুস্থ বোধ করছিলেন চালক। কারণ বেশ খানিকটা রাস্তা তিনি বাসটিকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করে চালাতে পারছিলেন না। সেই অসুস্থ চালককেও নন্দীগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই দুর্ঘটনার জেরে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ক্রেন এনে বাস ও ট্রেকারকে সরানোর কাজ শুরু হয়।