সোমা মাইতি: মৃত্যুর পরেও রেহাই নেই! সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে কেন হার? ‘সুব্রত সাহার দায়ও কম ছিল না’, দায়িত্ব নিয়েই বিস্ফোরক তৃণমূলের নয়া ব্লক সভাপতি শামসুল হুদা।
কংগ্রেসের গড়ে প্রথম ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্র থেকে একমাত্র তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বিধায়ক নির্বাচিত হন সুব্রত সাহা। জেতেন ২০১৬ ও ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনেও। এরপর রাজ্য়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হন সুব্রত।
তখনও মন্ত্রী ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রয়াত হন সুব্রত সাহা। উপনির্বাচনে সাগরদিঘি কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতেন বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, সাগরদিঘিতে তৃণমূলের সংগঠনে রদবদল….
ব্যবধান মাস দুয়েকের। সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের পর, দলের পরাজিত প্রার্থী দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। ব্লকের নয়া সভাপতি হলেন শামসুল হুদা। এদিন তিনি বলেন, ‘(হারের পিছনে) সুব্রত সাহার দায়ও কম ছিল না। ১২ বছরে সাগরদিঘিতে একটা বুথ কমিটি ছিল না। অঞ্চল, ব্লক কমিটি নেই। সাংগঠনিক দুর্বলতাই প্রধান কারণ। দ্বিতীয় কারণ পঞ্চায়েতে এক শ্রেণীর মানুষের দুর্নীতি’।
একসময়ে তৃণমূলে মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নয়া ব্লক সভাপতি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর পাপের প্রায়শ্চিত্ত করলাম এই উপ নির্বাচনে। ২০১৮ সালে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনের সময় জেলায় পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রার্থীরা লুঠপাট করেছে’।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘পঞ্চায়েতে এমন ব্যক্তিকে দরকার, যাঁরা দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াইটা করবে’
এর আগে, মার্চে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘সাগরদিঘিতে জোট অনৈতিক। একটা ভোটের ফল সবকিছু ঠিক করে না। পঞ্চায়েতে সব ব্লকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করতে হবে’। এমনকী, মুর্শিদাবাদের জন্য আলাদা একটি কমিটি গঠন করে দেন তিনি।