সদ্য নির্বাচিত সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই তিনি হুমকি ফোন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ বিধায়কের। কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে তাঁর দাবি। সে কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস বিধায়ক। আগামী সোমবার তাঁর দায়ের করা মামলার শুনানি রয়েছে।
এর আগে অবশ্য বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এক তৃণমূল নেতাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জের এক তৃণমূল নেতাকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তৃণমূল নেতার সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন পুলিশ কর্মীরা।
যদিও কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য না করে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা জানান। এরপরেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেন কংগ্রেস বিধায়ক। কলকাতায় এসে এই কংগ্রেস বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে এর মধ্যেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় নতুন রাজনৈতিক জল্পনা উঠে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জনসংযোগ সভা থেকে বায়রনকে উদ্দেশ্য করে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, সাগরদিঘি এলাকার উন্নয়ন করতে চায় রাজ্য সরকার। সে কারণে তিনি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারেও মত দেন।
অভিষেকের এই মন্তব্যকে স্বাগত জানান বায়রন। তিনি জানান, আগামী ১১ মে তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের একটি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসবেন। সেই সময়ই সাগরদিঘি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কথা বলতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা যায়। এর মাঝেই তিনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় পুলিশের উপরে তাঁর ভরসা কমছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি তাঁর সামনেও তুলে ধরবেন কিনা সে নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।