দীর্ঘদিন ধরেই অব্যাহত অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমির জট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে বিচারকের অনুপস্থিতির কারণে এদিন মামলার শুনানির দিন ফের পিছিয়ে যায়। মামলা শোনার জন্য ভারপ্রাপ্ত চতুর্থ জেলা জজ উপস্থিত থাকলেও যেহেতু কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন এই মামলা শুনবেন জেলা আদালতের বিচারক। তাই অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা জানান, জেলা আদালতের বিচারকের উপস্থিতিতেই এই মামলা শোনা হলে ভালো হয়।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা জানান, আগামী দিনে বিশ্বভারতী পুনরায় জেলা আদালতের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে কোনও অসুবিধা করতে পারেন। এমনকি তাঁরা শুনানির জন্য আবারও একটি দিন ধার্য করার জন্য অনুরোধ করেন। তাতে সহমত পোষণ করেন বিশ্বভারতীর আইনজীবীরাও। তারপরই এই মামলার শুনানির জন্য ফের দিন ধার্য করা হয় আগামী ৩০ শে মে।
বুধবার সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক সুদেষ্ণা দে চট্টোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন। এদিন দুপুর ২ টো নাগাদ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গরমের কারণে বেশিরভাগ মামলা সকালের দিকে এগিয়ে নিয়ে আসা হয়। নির্দিষ্টি সময়ে সেশন জজ অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত চতুর্থ জেলা জজ স্মরণজিৎ মজুমদারের এজলাসের এই মামলা হওয়ার কথা ওঠে। কিন্তু তা নিয়ে আপত্তি জানান অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা।
শান্তিনিকেতনে ১৩ ডেসিমেল জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর। জমি বেদখল করার অভিযোগ তুলে অমর্ত্য সেনকে একাধিকবার নোটিশ পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকি অমর্ত্য সেনের বাসভবন ‘প্রতীচী’র দেওয়ালে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে আসে। দুই তরফে বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করেন।
গত জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে অমর্ত্য সেনের হাতে জমির নথি দিয়ে আসেন। পরবর্তীকালে গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘প্রতীচী’ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। এই অবস্থান বিক্ষোভে একাধিক বিশিষ্ট শিল্পীরা গিয়েও উপস্থিত হন। গান, আবৃত্তি, নাটকের মাধ্যমে সেই মঞ্চ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।