বিজেপির অন্দরের খবর, এদিন রাতে দিল্লির বিমান ধরার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু হোম টাস্কও দিয়ে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। সুকান্ত-শুভেন্দুদের তিনি বলেছেন, পরের বছর লোকসভা ভোট না-মেটা পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের আরও বেশি জেলা সফর করতে হবে। কলকাতায় পার্টির রাজ্য দপ্তরে বসে নয়, দল চালাতে হবে জেলা থেকেই। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে জুন মাসের গোড়াতেই ফের বঙ্গ-সফরে আসবেন শাহ। জুনের রাজ্য সফরে তাঁর কর্মসূচি কী হবে, সেটা ঠিক করার ভারও তিনি দিয়েছেন সুকান্ত-শুভেন্দুর উপরেই।
এদিন সায়েন্স সিটিতে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান সেরে শাহ পাশের একটি পাঁচতারা হোটেলে নৈশভোজ সারেন রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। সেখানে বিজেপি নেতারা ছাড়াও হাজির ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পার্ণো মিত্র। তাঁরা দু’জনেই সায়েন্স সিটির অডিটোরিয়ামে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তর সংগঠন ‘খোলা হাওয়া’র উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
নৈশভোজের ফাঁকে শাহ কিছুক্ষণ আলাদাভাবে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন বলেও জানা গিয়েছে। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলার বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর অনুরোধ জানান। যদিও তার কোনও জবাব শাহ দেননি বলে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর।
পাশাপাশি, রাজ্য সরকার যেনতেন প্রকারে পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে বলেও শাহের কাছে নালিশ ঠোকেন সুকান্তরা। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ পদাধিকারীর কথায়, ‘পঞ্চায়েত ভোট যখনই হোক, রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করালে তা কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ হবে না। আমাদের কর্মীদের উপর নির্বিচারে হামলা চালানো হবে। এ বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছি অমিতজির কাছে।’