চলতি মাসের ৭ তারিখই তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ‘ভালো লেগেছে’ বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় কংগ্রেস বিধায়ককে। অভিষেকের ‘নিরপেক্ষ’ মন্তব্যের দরাজ সার্টিফিকেট দেন তিনি। দু’দিনের মধ্যেই সেই পরিস্থিতির মেরু পরিবর্তন। বিধায়ক হিসাবে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে মাত্র একজনকে নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হয়েছে। আমি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিটিং-মিছিলে যাচ্ছি। অনেকেই বিভিন্ন রকম ভুল মন্তব্য করছে।” বিষয়টি নিয়ে সরকারের গাফিলতি রয়েছে বলেই ইঙ্গিত দেন তিনি।
বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস আরও বলেন, “আমি কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক। আমি নিরাপত্তার জন্য ভুগছি। আমাকে ১০ টা নিরাপত্তা দিলেও আমি বহন করতে সক্ষম। কিন্তু অতটা দরকার নেই। আপাতত আমার চারটা নিরাপত্তা হলেই হবে।” কিন্তু, রাজ্য সরকারকে বারবার বলার পরেও নিরাপত্তা পাওয়া না যাওয়ায় তিনি সেন্ট্রাল ফোর্সের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেই জানানবাইরন।
অভিষেকের মন্তব্যে সাধুবাদ দেওয়ার বিষয়টি নানা জল্পনা বাড়ায় রাজনৈতিক মহলে। এমনকি, কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিধায়ক বিশ্বাসের দেখা করার বিষয়টি সামনে এল চর্চা আরও বাড়তে থাকে। সাগরদিঘি কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহাবস্থান বজায় রেখে চলবেন বলেও জানানবাইরন। এর মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি। এর পেছনে প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কোনও প্রচ্ছন্ন নির্দেশ রয়েছে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
প্রসঙ্গত, একাধিকবার রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও না পেয়েই কার্যত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বুধবারই সেই মামলা আসে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে। আগামী সোমবারইবাইরন বিশ্বাসের মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে।
পাশাপাশি, আগামী ১১ মে প্রদেশ কংগ্রেসের একটি বৈঠকে কলকাতায় আসছেনবাইরন। সেদিন তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানেও এই বিষয়টি উত্থাপিত হয় কিনা উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, আরেক বিরোধী বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকিও এর আগে তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন।