CV Ananda Bose Bratya Basu : রাজ্যপালের ‘হ্যামলেট’-এ ব্রাত্যর ‘ম্যাকবেথ’-‘জুলিয়াস সিজ়ার’ খোঁচা – bratya basu attacks cv ananda bose raising macbeth


এই সময়: ‘হ্যামলেট’-এর পাল্টা ‘ম্যাকবেথ’ ও ‘জুলিয়াস সিজ়ার’! সোমবার রবীন্দ্রভারতীর সমাবর্তন মঞ্চে আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, ‘রাজ্যে আইনগত, সাংবিধানিক অথবা রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হলে, এক জন রাজ্যপাল শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের মতো ‘টু বি অর নট টু বি’-র সংশয় নিয়ে বসে থাকবেন না।’ মঙ্গলবার এর পাল্টা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উইলিয়াম শেক্সপিয়রের দুই চরিত্র ‘ম্যাকবেথ’ ও ‘জুলিয়াস সিজ়ার’কে টেনে আনলেন। সঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের লাইন ও কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তর কবিতারও উল্লেখ করলেন ব্রাত্য।

CV Ananda Bose : শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’ হয়ে বসে থাকব না! কড়া বার্তা রাজ্যপাল বোসের
এদিন রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উনি (রাজ্যপাল) সম্ভবত হ্যামলেট হয়ে থাকবেন না বলতে শেক্সপিয়রের মূল চরিত্র হ্যামলেটের যে দ্বিধাজনিত নিষ্ক্রিয়তা, তার কথা বলতে চেয়েছেন। ভুলে গেলে চলবে না, হ্যামলেট কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় থাকেননি। সক্রিয় হয়েছিলেন। সক্রিয় হওয়ার পর লিয়ারতেসের হাতে হ্যামলেটের কী দশা হয়েছিল, সেটাও আমরা জানি।’

Mamata Banerjee : ‘বিল পছন্দ না হলে ফেরত পাঠান’, রাজ্যপাল বোসকে কড়া বার্তা মমতার
ব্রাত্য আরও বলেন, ‘যদিও উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে বাইপাস করে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে কুক্ষিগত করার যে মানসিকতা ওঁর দেখা যাচ্ছে, যা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী গতকাল উল্লেখ করেছেন, সেটা ঠিক হ্যামলেটের মতো লাগছে না। বরং অনেকটা ম্যাকবেথের মতোই লাগছে। মানে একটা তীব্র উচ্চাশা কাজ করছে, ম্যাকবেথের যেটা ট্রাজিক ভুল। যে হারে উনি বিজেপি-র মার্কাস, ব্রুটাস দ্বারা পরিবৃত, তাতে তাঁর অবস্থান জুলিয়াস সিজ়ারের মতো দাঁড়ায়।’

Mamata Banerjee : পদ্ম-দমন: মমতা চান ‘ওয়ান টু ওয়ান ফাইট’
ব্রাত্যর সংযোজন, ‘আজ তো শেক্সপিয়রের দিন নয়। রবীন্দ্রনাথের দিন। ফলে আমি ওঁকে রবীন্দ্রনাথের কথায় বলব, ‘পুরানো সেই দিনের কথা, ভুলবি কি রে হায়…।’ ব্রাত্যর কথায়, ‘যে সম্প্রীতির বাতাবরণ দিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও রাজভবনের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল, সেটা উনি বিস্মৃত হতে পারেন। কিন্তু আমরা যেহেতু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সেই বিস্মরণের দায় আমরা নিতে পারি না।’ এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘উটপাখি’ কবিতার একটি লাইনও বলেন, ‘অখিল ক্ষুধায় শেষে কি নিজেকে খাবে? ফাটা ডিমে তা দিয়ে কী আর ফল পাবে, মনস্তাপেও লাগবে না ওতে জোড়া।’

Mamata Banerjee : ‘ভোটার লিস্টে দয়া করে নাম তুলুন নইলে…’, মালদা থেকে আশঙ্কার কথা শোনালেন মমতা
এদিন রাজভবনের তরফে এনিয়ে আরও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘উনি (ব্রাত্য) একজন নাট্যব্যক্তিত্ব, তারপরে শিক্ষামন্ত্রী। উনি নাটকের কথা বলেছেন, ভালো। কিন্তু ওঁর আগের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা এখন জেলে। ওঁর বোধহয় আগে সেই দিকটা দেখা দরকার।’

সোমবার রাজ্যপালের মন্তব্যের পর রাজভবনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছিলেন, ‘চুপচাপ বসে থাকবেন না তো কি সকলের চাকরি খাবেন? চেয়ারটা সম্মানের। কিন্তু শিক্ষা চালায় উচ্চশিক্ষা দপ্তর।’ এদিন ব্রাত্যর দাবি, ‘উচ্চশিক্ষা দপ্তর বার্তা দিয়েছে, যা করা হবে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেই হবে।

CV Ananda Bose : সূচি বদল বোসের, কাল সমাবর্তনের আগে কোট বৈঠক
কোনও আলোচনায় আমরা এক মত হতে পারি, ভিন্ন মতও হতে পারি। কিন্তু রাজভবনকে বাইপাস করে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কোনও সিদ্ধান্ত নয়।’ ব্রাত্যর প্রশ্ন, ‘আইনে পরিষ্কার বলা আছে, রাজ্যপাল যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা বাধ্যতামূলক। ইউজিসি-র গাইডলাইনে বলা হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে একজন অধ্যাপকের ন্যূনতম দশ বছরের প্রফেসরশিপ থাকতেই হবে। উনি নিজেই নিয়মের কথা বলছেন। আবার নিজেই নিয়ম ভাঙছেন। এটা কেন করছেন! সেটা আমার কাছে ধোঁয়াশা।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি এখনও আশা রাখি, উনি আলোচনার টেবিলে বসলে, এ ধরনের হঠকারী ও আধিপত্যকামী মানসিকতার অবসান হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *