Rabindra Jayanti : মংপুতে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন, ভিড় পর্যটকদের – rabindra birth anniversary is celebrating in mangpu


এই সময়, মংপু: রবীন্দ্রস্মৃতি কেন্দ্র থেকে রবীন্দ্র পর্যটন কেন্দ্রে উত্তরণ ঘটছে দার্জিলিংয়ের মংপুর। মঙ্গলবার মংপুতে শ’খানেক পর্যটকের উপস্থিতিতে পালিত হলো রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে চার বার মংপুতে যান কবিগুরু। উঠেছিলেন সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশনে মৈত্রেয়ী দেবীর স্বামীর জন্য বরাদ্দ বাংলোয়।

Rabindranath Tagore Jayanti 2023: প্রদীপের নীচেই অন্ধকার! ঠাকুরবাড়ির বাগানবাড়িতে পালন হচ্ছে না রবীন্দ্র জয়ন্তী
বেহাল হয়ে পড়ে থাকা সেই বাংলোটি কার্যত স্মৃতির পাতায় মিলিয়ে যাওয়ার আগে ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর, সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন কর্তৃপক্ষ এবং পূর্ত দপ্তরের সম্মিলিত চেষ্টায় মংপু বাস্তবিকই পর্যটন কেন্দ্রের চেহারা পাচ্ছে। মূল বাংলোটির সংস্কার ছাড়াও এখানে একটি কমিউনিটি হল, রাত্রিবাসের জন্য গেস্ট হাউজ, গাছ বাড়ি মিলিয়ে এক নয়নাভিরাম চেহারা দেওয়া হয়েছে।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কার হওয়া রবীন্দ্র ভবনের উদ্বোধন করেন। তার পর থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে এখানে। মঙ্গলবার মংপুতে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালনের সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন অন্তত শ’খানেক পর্যটক। কেউ এসেছেন ব্যারাকপুর থেকে, কেউ বা হুগলি। সকলেই গরমে পাহাড়ে বেড়াতে এসেছেন।

Amit Shah News: ঠাকুরবাড়িতে শাহ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
নিজের এলাকায় নেই বলে পঁচিশে বৈশাখে রবীন্দ্রস্মৃতি তর্পণ হবে না? ব্যারাকপুরের বাসিন্দা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি তো পঁচিশে বৈশাখে রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে অন্য কিছু ভাবতে পারি না। তাই দার্জিলিং থেকে মংপুতে চলে এসেছি।’ শিলিগুড়ি থেকে সাতসকালে মংপুতে ছুটে গিয়েছিলেন রবীন্দ্র অনুরাগী তথা লেখক রতন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে এখানে আসছি। সংস্কারের পরে বাংলোর হাল একেবারে বদলে গিয়েছে। এখন কলকাতার মানুষদের গর্ব করে বলতে পারব, তোমাদের জোড়াসাঁকো থাকলে আমাদেরও মংপু আছে।’

Rabindra Jayanti : অমর্ত্য সেনের সমর্থনে ধরনার জের? বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে কাটছাঁট
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটকদের মংপুতে রাত কাটাতে হলে তাকদা ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে বুকিং করতে হবে। চারটে ডাবল বেড রুম ছাড়াও ডরমিটরি রয়েছে। গাছ বাড়ির বুকিং করতে গেলে সরাসরি সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

জেলাশাসক এস পুনমবালান বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আগ্রহেই আমরা সংস্কারের কাজে হাত দিই। মুখ্যমন্ত্রী এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। লকডাউন থেকে শুরু করে একের পর এক সমস্যার মধ্যেই আমাদের সংস্কারের কাজ করতে হয়েছে। এ বার মংপুতে পর্যটকদের ভিড় যে আরও বাড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।’

Darjeeling Tourism: টাইগার হিল ভ্রমণ নিয়ে নয়া জট! মুখ ফেরাচ্ছে পর্যটক থেকে ব্যবসায়ীরাও?
রবীন্দ্রনাথ যে বাংলোয় ছিলেন, সেটি হেরিটেজ কমিশনের হাতে গিয়েছে। তাঁরাই এটিকে সাজিয়েছেন। নব সাজের বাংলো দেখে বেজায় খুশি কেয়ারটেকার শিশির রাউত। তিনি বলেন, ‘বহুদিন ধরেই পর্যটকেরা এখানে আসেন। কিন্তু বাংলোর বেহাল দশায় মন খারাপ করে ফিরে যেতেন। এ বার সকলেই খুশি হবেন।’

খুশি জিটিএ চিফ অনীত থাপাও। তিনি বলেন, ‘বাঙালি ও গোর্খাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ সেতু হিসাবে কাজ করেন। মংপুর রবীন্দ্র ভবনও সেই সেতু হয়েই থাক।’ এ দিন কালিম্পং জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরীপুর হাউজের সংস্কারের কাজেও নামবে রাজ্য সরকার। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ২ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভবনটির সংস্কার করা হবে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *