Raiganj Car Service : এক ফোনে দুয়ারে গাড়ি! বাবা হারনোর দুঃখ নিয়েই গরিব মানুষের পাশে সফিকুলদা – raiganj man safikul haq giving free car services to poor people good news


শুধুমাত্র একটা ফোন, গভীর রাতে বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির হবে গাড়ি। গভীর রাতে যে কোনও জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে মিলবে এই গাড়ি। সেই গাড়িতে করে সাধারণ মানুষ রোগীকে নিয়ে যেতে পারবেন হাসপাতালে। অসুস্থ ব্যক্তিকে দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলে বেঁচে যাবে প্রাণ।নিশ্চয়ই ভাবছেন সরকার নতুন কোনও পরিষেবা শুরু করেছে? না এই পরিষেবার পিছনে রয়েছেন সমাজকর্মী সফিকুল হক। কালো রঙের স্যান্ট্রো গাড়িটি সফিকুলদার গাড়ি হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। মানুষের সেবাই পরম ধর্ম, সেই আদর্শকে পাথেয় করেই পরিষেবা দিয়ে চলেছেন রায়গঞ্জ ব্লকের ভিটিয়ারের বাসিন্দা সফিকুল হক।

Raiganj Medical College and Hospital : টানা ১২ ঘণ্টা ধরে চলছে না আলো-পাখা-লিফট, চূড়ান্ত দুরবস্থা রায়গঞ্জ হাসপাতালে
সফিকুল জানিয়েছেন, রূঢ় বাস্তব তাঁকে এই চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করেছে। ২০১৪ সালে এক ভয়ঙ্কর বাস্তবের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। গাড়ির অভাবে সময়মতো অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। বাবার মৃত্যুতে মাথার উপর থেকে ছায়া উঠে যায়। সেই অভিজ্ঞতা আজও তার অন্তরকে নাড়িয়ে তোলে।

পরবর্তীকালে নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গাড়ি কেনেন সফিকুল। সময়মতো গাড়ি না পাওয়ার কারণে আর কাউকে যাতে সমস্যার মুখোমুখি না হতে হয়, সেই চিন্তাভাবনা মাথায় রেখেই এই পরিষেবা শুরু করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, দিনের বেলা গাড়ি পাওয়া গেলেও রাত হলেই পরিস্থিতি বদলে যায়। কোনও জরুরি দরকারে গাড়ি পান না সাধারণ মানুষ।

Murshidabad News : শববাহী গাড়ি কেনা প্রাক্তন বাম সাংসদের কোটায়, তাই গড়াচ্ছে না যানের চাকা?
মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে অনেক অসাধু গাড়িচালক বেশি ভাড়া চেয়ে বসেন। সে সময় চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় অসুস্থ ও তাঁর পরিবারকে। তাই তিনি গাড়ি নিয়ে রাত্রিকালীন পরিষেবা দেন একেবারেই বিনামূল্যে। যত রাতই হোক সফিকুলকে একটা ফোন করলেই অসহায় গরিব পরিবারের অসুস্থ মানুষকে নিজের গাড়িতে করে সযত্নে হাসপাতালে পৌছে দেন সফিকুল। ভিটিয়ার সহ সংলগ্ন একাধিক গ্রাম এমনি পার্শ্ববর্তী বিহারের একাংশ মানুষ এই সুবিধে পেয়ে থাকেন।

Hooghly News : লক্ষ্য সমাজ সচেতনতামূলক প্রচার, পায়ে হেঁটে হুগলি থেকে দার্জিলিং যাত্রা শিক্ষকের
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সফিকুলে ডেকোরেটার্সের ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকে উপার্জিত অর্থের কিছুটা এই কাজে ব্যায় করেন তিনি। সকলকে এভাবেই এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন সকলের প্রিয় সফিকুল দা। তিনি বলেন, ‘গাড়ি না পেয়েই ২০১৪ সালে আমার বাবা মারা যান। তখন থেকে ইচ্ছে ছিল, নিজে পায়ে দাঁড়াতে পারলে গাড়ি কিনে মানুষকে পরিষেবা দেব। রাতে মানুষ বিপদে পড়লে আমি তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে দিই। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা অবধি এই পরিষেবা দিই। এই পরিষেবা দিতে মাসে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার তেল খরচ হয়। এই কাজ করতে পেরে আমি খুবই খুশি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *