এখনও পর্যন্ত আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে শারফ হাউজের তিনতলার ছাদে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। সুজিত বসুর নির্দেশে ঘটনাস্থলে আনা হয় একটি বিশেষ ল্যাডার। সেই মইয়ের সাহায্যে দমকল কর্মীরা আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। এখনও একাধিক পকেট ফায়ার রয়েছে তিনতলার ক্যান্টিনে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে শারফ হাউজ জুড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না আনতেই চারটি এসি বিস্ফোরণ হয়। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজভবনের নিকটে শারফ হাউজে আগুন লাগে। রাজভবনের বাইরে কালো ধোঁয়া দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন রাজ্যপাল (Governor C V Ananda Bose)। তিনি রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। সকাল থেকেই তাঁকে দেখা যায় গোটা ঘটনার তদারকি করতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও খবর। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং উপস্থিত আধিকারিকদের নির্দিষ্ট নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া গোটা পরিস্থিতির উপর রাজভবনের নজর রয়েছে। রাজভবনের কর্মীরা আমায় প্রতি মুহূর্তের খবর পৌঁছে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীও ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গেও আমার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের তরফে সমস্তরকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কেবলমাত্র এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাই নয়, আগামীদিনে এই ধরণের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে প্রশাসনকে। সর্বমুহূর্তে অ্যালার্ট থাকতে হবে।”
এদিকে, বিধ্বংসী আগুনে কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে শারফ হাউজের তিনতলার ছাদ এবং ক্যান্টিন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই বহুতলের একাধিক অফিসও। জানা গিয়েছে, এই বহুতলেই রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কের শাখা। সেটিরই একটি ক্যান্টিন ছিল ওই বহুতলের তিনতলায়। তবে কোনও ব্যক্তি বহুতলের মধ্যে আটকে নেই বলেই খবর। সকলকে নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।