২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে বিনপুর বিধানসভায় প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন খগেন্দ্রনাথ হেমব্রম। ২০১৬ সালে নির্বাচনে প্রায় ৪৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে CPIM-কে হারিয়ে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন খগেন্দ্রনাথ। খগেন্দ্রনাথ পেশায় একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
তিনি আগে ঝাড়খণ্ড পার্টি করতেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করে বিধায়ক হন। খগেন্দ্রনাথ এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক ছিলেন। তাঁকে মানুষ সহজেই কাছে পেতেন। তাঁর বাড়ি বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের বেলপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জামবনী গ্রামে। তিনি ঝাড়খণ্ড পার্টির প্রধান ছিলেন বেলপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিনপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হন দেবনাথ হাঁসদা। খগেন্দ্রনাথ হেমব্রম নার্ভের সমস্যার চিকিৎসা করারচ্ছিলেন এবং তার ওষুধও খেতেন নিয়মিত।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া় তিনি কলকাতার পিজিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে ন’টার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতেই দেহ নিয়ে আসা হয় তার বাড়িতে। সকাল থেকে তৃণমূলের এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছন।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা কল্লোল তফাদার বলেন, “খগেন বাবু আমার অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। ওনার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত আমরা সকলে। ওনার সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমার যোগাযোগ ছিল। চিকিৎসা করানোর জন্য কলকাতাতে ওনার সঙ্গে আমি বহুবার গিয়েছি। ওনার নার্ভের সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে উনি কাউকে ঠিকমতো চিনতে পারছিলেন না। পরিষ্কারভাবে কথা বলতেও পারছিলেন না। ওনার চলে যাওয়াতে একটা শূন্যস্থানের সৃষ্টি হল।”
শোকে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন স্থানীয় মানুষরাও। জামবনী গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “রাজনৈতিক জগতের মানুষ হলেও একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি। গ্রামের এই বাড়ি ছেড়ে কোনোদিন অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবেননি। সকলের সঙ্গে মিশতেন। দলমত নির্বিশেষে সকলের মতামত শুনতেন, সবার কাজ করে দিতেন। ঝাড়গ্রাম এক বড় নেতাকে হারাল।”