মুখ্যমন্ত্রী শূন্যপদ শীঘ্র পূরণে ট্রেনিং টাইম কমানোর প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ”ছয়মাসের বদলে সাতদিন ট্রেনিং দিয়ে তাদের থানায় পাঠাও। ফোর্স বাড়াও পরে প্রতিমাসের সাত দিন করে ডেকে তাদের ট্রেনিং দাও। অর্থাৎ তাদের মাসের ২১ দিন কাজ করাও বাকি সাতদিন ট্রেনিং দিয়ে বাকি প্রসেস কমপ্লিট কর। এত লম্বা ট্রেনিংয়ে সময় নষ্ট হয় বলে আমার মনে হয়।”
একইভাবে হাসপাতাল ডাক্তার ও নার্সের অভাব পূরণেও বিশেষ প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় জেলায় আরও ১০০ নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খোলার কথা খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ”নার্সদের ক্ষেত্রে ব্যাণ্ডেজ বাঁধা, স্যালাইন দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো এগুলোর ক্ষেত্রে ১৫ দিনের ট্রেনিংই যথেষ্ট। তারা তো অপারেশন করতে যাচ্ছে না। এদের জুনিয়র নার্স হিসেবে রাখা হবে। জটিল কাজের জন্য সিনিয়র নার্সরা তো রইলই।”
এই একইভাবে চিকিৎসকদের অভাব পূরণের ক্ষেত্রেও একটি প্রস্তাব পেশ কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইঞ্জিনিয়ারদের মতো ডাক্তারদের জন্যেও কোনও ডিপ্লোমা চালু করা যায় কিনা বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রী খতিয়ে দেখতে বলেন স্বাস্থ্য সচিবকে। এর জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশও দেন তিনি। তাঁর মতে, একজন চিকিৎসকের ডাক্তারি পড়তে পাঁচ বছর সময় লাগে। তারপর তাঁকে জুনিয়র ডক্টর হিসেবে পায় হাসপাতাল। এভাবে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে অভাব পূর্ণ করা যাবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুস্বাস্থ্য সেন্টার গুলিতে এভাবেই ডাক্তারের অভাব পূর্ণ করা হয়েছে বলে সভায় জানান স্বাস্থ্য সচিব।
এখানেই শেষ নয়, বহুদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি করে সেমি ডাক্তার কোনও পদ চালু করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অবসর নিতে ৩ থেকে ১০ বছর বাকি রয়েছে যাদের, তাদেরই এক্ষেত্রে বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এছাড়া রাজ্য থেকে বাইরে কাজের জন্য যারা লোক নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের রাজ্যে ডেটা রেখে যাওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ”এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে বা সরকারের প্যানেল থেকে নিলে মিডল ম্যানদের থাকা, খাওয়ার খরচ বাদে কমিশন বেঁচে যাবে।” শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে নাম নথিভুক্তদের স্কিল ডিপার্টমেন্টে পাঠাতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।