অর্ণবাংশু নিয়োগী: ‘তদন্ত চলাকালীন কোনও মত প্রকাশ করতে পারবেন না’। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ‘নির্যাতনে’ সিট গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। ৩ সদস্যের তদন্তকারী দলে থাকবেন প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও আইপিএস দয়মন্তী সেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্তার নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে চলবে তদন্ত।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ এপ্রিল। সেদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা এলাকায় বাড়ির কাছেই পুকুর পাড়ে পাওয়া যায় কিশোরীর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগের দিন থেকে নিখোঁজ ছিল সে। কীভাবে মৃত্যু? অভিযোগ, ধর্ষণ করার পর ওই কিশোরীকে খুন করেছে পাশের গ্রামের এক যুবক ও তাঁর সঙ্গীরা।
আরও পড়ুন: Dead Body Recovered in Kolkata: খাস কলকাতায় পুকুরে ভাসছে দেহ, একটি বিষয় নজর কাড়ল পুলিসের
দফায় দফায় বিক্ষোভের রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকায়। এমনকী, ডেপুটেশন দিতে গিয়ে থানায় তাণ্ডব চালান আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। স্রেফ পাঁচিল ভাঙা নয়, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় থানায়! সঙ্গে ঘির ধরে মারধর পুলিসকর্মীদের। বস্তুত, একটি ভিডিয়ো-ও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছেন এক পুলিসকর্মীরা। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি পুলিস।
স্রেফ অবরোধ-বিক্ষোভ নয়, কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের মামলা করেছিলেন নিহত নাবালিকার পরিবারের লোকেরা। সেই মামলাতে এদিন রায় দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা। আদালতের নির্দেশ, ‘তদন্ত চালকালীন সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মত প্রকাশ করতে পারবেন না সিটের সদস্যরা। প্রয়োজন করলে সিট দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে পারবে’। স্রেফ কেস ডায়েরি ও নথি দিয়ে তদন্তে সাহায্য নয়,নিহতের পরিবারের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।