বিচারক এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে দেখে বলেন, “আপনাকে দেখে অত্যন্ত ক্লান্ত লাগছে। কেমন আছেন?” উত্তরে অত্যন্ত নীচু গলায় অনুব্রত মণ্ডল জবাব দেন, তাঁর শরীর একেবারেই ভালো নেই। বিস্তর অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে তাঁকে। আপাতত জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে রয়েছেন তিনি এই বিষয়টিও জানান বিচারককে।
এরপরেই বিচারককে অনুব্রত মণ্ডল অনুরোধের সুরে বলেন, “হুজুর রাইস মিলের অ্যাকাউন্টটি চালু করে দিন।” এরপরেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান কোন রাইস মিল? সেই সময় ভোলে বোম রাইস মিলের কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল।
এরপর বিচারক বলেন, “আমি তো আপনার মুখের কথায় কোনও অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে নির্দেশ দিতে পারি না। আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করুন। আপনার এবং CBI- দু’পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অনুব্রত মণ্ডল জানান , ওই মিলে ২০০ শ্রমিক রয়েছে। বহু জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে সেখানে। এরপরে তাঁকে বিচারক আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করার পরামর্শ দেন। অন্যদিকে, সায়গল হোসেনের বেশ কিছু গয়না রয়েছে CBI-এর কাছে।
সে বিষয়েও এদিন বিচারক সায়গলকে বলেন, “গয়নার অর্ধেক রিপোর্ট এসেছে।” এরপরেই বাকি রিপোর্ট চাওয়ার জন্য সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চান। সরকারি আইনজীবী জানান, CBI-এর তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানানো হবে। বিচারক সায়গলকে আশ্বাস দেন খুব দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে। এরপরেই সরকারি আইনজীবী বিচারককে জানান, CBI-এর আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিনই সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
এদিন বিচারক তিহাড়ের জেল সুপারকে অনুব্রত মণ্ডলের যাবতীয় চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ জুন দিন ধার্য করেছেন আসানসোল CBI আদালতের বিচারক।
উল্লেখ্য, গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। আপাতত তিনি রয়েছেন তিহাড় জেলে। আগামীকাল অর্থাৎ ১২ তারিখ সুকন্যার জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে।
অনুব্রত মণ্ডল তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে মেয়ের জামিনের বিষয়ে কথা বলেন। বীরভূমের এই নেতার আর্জি ছিল, “ঈশ্বর মেয়েটার যেন জামিন হয়।”