এই বিষয়ে কোম্পানির ম্যারেজিং ডিরেক্টর আনন্দ মৃর্ধা বলেন, “আয়াপান হচ্ছে একটি ঔষধি ভেষজ যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। হবিবপুর ফার্মার্স প্রডিউসার কোম্পানির উদ্যোগ এবং সহযোগিতায় হবিবপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ করা হচ্ছে আয়াপান”। সেই সমস্ত বিষয় জানতে হঠাৎ পরিদর্শন করেন জেলাশাসক।
তিনি এই চাষের বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কিছুই খোঁজখবর নেন। আজ এখানে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনন্দ মৃধা, চেয়ারম্যান বিভূতিভূষণ মণ্ডল, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অভিজিৎ দে এবং জৈব কৃষি বিশেষজ্ঞ অনিল সরকার।
আগামীতে শুধু হবিবপুর নয়, জেলার বিস্তীর্ণ ব্লক জুড়ে চাষ করা হবে আয়াপান, একথা বলে আশা প্রকাশ করেন ওই কোম্পানির কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা আরও জানান, “আয়াপানের উপকারিতা ও গুণাগুণ না জানার কারণে আয়াপান আজ আমাদের কাছে অচেনা আগাছায় পরিণত হয়েছে। এটি ছোট গুল্ম জাতীয় গাছ যা মাটির ওপর লতিয়ে বাড়ে।
পাতা তেজপাতার মত নরম ও শিরাগুলো খয়েরি লাল। সতেজ পাতার অভাবে শুকনো গাছ চূর্ণ করেও ব্যবহার করা যায়”। আয়াপান পাতা রক্তরোধক, রক্তবর্ধক ও রক্তশোধক এবং স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজক। গভীরভাবে কেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে, আয়াপান পাতা থেঁতো করে ক্ষতের ওপর প্রলেপ দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিলে কিছুক্ষনের মধ্যেই রক্ত বন্ধ হয় বলে জানা গিয়েছে।
তবে গভীর ক্ষত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিটেনাস ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। পচা বা দূষিত ঘা আয়াপান পাতা ফোটানো গরম জলে অথবা পাতার রস মেশানো অল্প উষ্ণ জলে নিয়মিত দিনে দুবার ধুয়ে পরিষ্কার করলে ঘা খুব তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যায়। আয়াপানের রস নার্ভাইন টনিকের কাজ করে, এটি হার্টেরও উত্তেজক বলে জানা গিয়েছে।