বন দফতর সূত্রে খবর, আপাতত দুটি বাঘ আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এমনিতেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। বড় খাঁচা সহ বাঘের থাকা-খাওয়ার জন্য একাধিক সরঞ্জামের ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেইরকম পরিকাঠামো তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
রমনাবাগানে হরিণ, ভল্লুক, কুমির, ময়ূর সহ দুটি চিতা বাঘ রয়েছে। রমনাবাগানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ‘ধ্রুব’, ‘কালী’ নাম দুই চিতা বাঘ। দুই চিতা বাঘের সঙ্গে দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার নতুন অতিথি হয়ে এলে তা দর্শকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এমনিতেই হরিণ ছাড়াও কুমির, চিতা, ভল্লুক, ময়ূর রমনবাগানকে একটি ‘মিনি জু’ হিসাবে প্রতিপন্ন করে।
তবে রমনাবাগানের অভয়ারণ্যে এখন হরিণের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৮০ টির বেশি হরিণ রয়েছে এখানে। রমনাবাগানে ৪০ থেকে ৫০ টি হরিণ রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে। হরিণের সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু হরিণকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
বর্ধমানে পূর্বস্থলীতে একটি নতুন ডিয়ার পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন এই ডিয়ার পার্ক নির্মাণের ব্যাপারে আগেই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সেই নতুন ডিয়ার পার্ক তৈরি হলে সেখানে কিছু হরিণকে স্থানান্তর করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের উলটোদিকে অবস্থিত এই রমনাবাগানের অভয়ারণ্যে। ১৯৮১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে এই বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্যে রূপান্তরিত করা হয়। শুরুর দিকে এই বনাঞ্চলে বেশ কিছু হরিণ নিয়ে আসা হয়েছিল। এটাকে মূলত ডিয়ার পার্ক হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীকালে হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য পশু-পাখি আনার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।
ধীরে ধীরে পূর্ণ চিড়িয়াখানা হিসাবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয় বন দফতর। বর্ধমানের এই রমনাবাগান-এর পশু-পাখি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই প্রচুর পর্যটক আসেন। আগামী দিনে বাংলার সেরা বাঘের আগমণ হলে একলাফে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে এ কথা বলাই বাহুল্য।