Royal Bengal Tiger : অতিথি আসছে বর্ধমানে! ফিসফাস শহরের অলিতে গলিতে – west bengal forest department will bring royal bengal tiger at ramnabagan wildlife sanctuary at burdwan


রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মানেই আর সুন্দরবন নয়। এবারের বাঘের গর্জন শোনার সুযোগ পাবে বর্ধমানবাসীও। বর্ধমান জেলার রমনাবাগান ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিচ্ছে বন দফতর। রমনাবাগানে এমনিতেই দুটি চিতাবাঘ রয়েছে। এর সঙ্গে আরও দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আনা হলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Royal Bengal Tiger : সেঞ্চুরি পার করল সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা, খুশি বন দফতর
বন দফতর সূত্রে খবর, আপাতত দুটি বাঘ আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এমনিতেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। বড় খাঁচা সহ বাঘের থাকা-খাওয়ার জন্য একাধিক সরঞ্জামের ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেইরকম পরিকাঠামো তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।

রমনাবাগানে হরিণ, ভল্লুক, কুমির, ময়ূর সহ দুটি চিতা বাঘ রয়েছে। রমনাবাগানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ‘ধ্রুব’, ‘কালী’ নাম দুই চিতা বাঘ। দুই চিতা বাঘের সঙ্গে দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার নতুন অতিথি হয়ে এলে তা দর্শকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এমনিতেই হরিণ ছাড়াও কুমির, চিতা, ভল্লুক, ময়ূর রমনবাগানকে একটি ‘মিনি জু’ হিসাবে প্রতিপন্ন করে।

Sundarban Royal Bengal Tiger : বাড়াতে হবে বাঘের সংখ্যা, খাদ্যের জোগান দিতে সুন্দরবনের জঙ্গলে ছাড়া হল একশো হরিণ
তবে রমনাবাগানের অভয়ারণ্যে এখন হরিণের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৮০ টির বেশি হরিণ রয়েছে এখানে। রমনাবাগানে ৪০ থেকে ৫০ টি হরিণ রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে। হরিণের সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু হরিণকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
বর্ধমানে পূর্বস্থলীতে একটি নতুন ডিয়ার পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন এই ডিয়ার পার্ক নির্মাণের ব্যাপারে আগেই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সেই নতুন ডিয়ার পার্ক তৈরি হলে সেখানে কিছু হরিণকে স্থানান্তর করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Sundarban Royal Bengal Tiger Attack : সুন্দরবনে ফের বাঘের হামলা, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি মৎস্যজীবীর
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের উলটোদিকে অবস্থিত এই রমনাবাগানের অভয়ারণ্যে। ১৯৮১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে এই বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্যে রূপান্তরিত করা হয়। শুরুর দিকে এই বনাঞ্চলে বেশ কিছু হরিণ নিয়ে আসা হয়েছিল। এটাকে মূলত ডিয়ার পার্ক হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীকালে হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য পশু-পাখি আনার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।

Sundarban Tourism: বেড়েছে বাঘের সংখ্য়া, ‘রয়্যাল’ দর্শনে সুন্দরবনমুখী পর্যটকরা

ধীরে ধীরে পূর্ণ চিড়িয়াখানা হিসাবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয় বন দফতর। বর্ধমানের এই রমনাবাগান-এর পশু-পাখি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই প্রচুর পর্যটক আসেন। আগামী দিনে বাংলার সেরা বাঘের আগমণ হলে একলাফে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে এ কথা বলাই বাহুল্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *