সেই সঙ্গে সব কিছু ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা যেমন জেনে নেন, তেমনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকেও বসেন জেলাশাসক। জেলায় বেড়ে চলা দুর্ঘটনা, সামনে ঘূর্ণিঝড় মোকার পূর্বাভাস, স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিকঠাক রয়েছে কি না সেই বিষয়েও তিনি খুঁটিনাটি প্রশ্ন করেন। গত এক বছর আগে তমলুকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়।
সেই কলেজের সম্পূর্ণ পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। এজেন্সি কাজের বরাত পেলেও কাজে গড়িমসি দেখা দিচ্ছিল। জেলাশাসক নিজে গিয়ে এজেন্সিদের দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা জানান। জেলাশাসকের নির্দেশের পর নির্মাণ কাজ চলছে জোর কদমে। কলেজের সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে উঠলে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও সুন্দর হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন সকলেই।
এদিন পরিদর্শনে ও বৈঠকে জেলাশাসকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ন রায়, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান চিত্ত মাইতি সহ তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ন রায় এই বিষয়ে বলেন, “১২ দিনের মাথায় এটি জেলাশাসকের দ্বিতীয় পরিদর্শন। তিনি আজ বলেছেন বর্ষার আগেই কাজ শেষ করতে। আর এই বিষয়ে সবাই একমত আছেন যে বর্ষাকাল পড়ার সময় যদি এখানে নির্মাণের কাজ চলে, তাহলে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের অশেষ দুর্ভোগ পোহাতে হবে। তাই এজেন্সিদের বলে দেওয়া হয়েছে তাড়াতাড়ি কাজ করতে।”
এদিকে, মেডিক্যাল কলেজে আসা রোগীদের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা শোনেন জেলাশাসক। মেডিক্যাল কলেজে আশা রোগীর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, মহিলা ওয়ার্ডে বাথরুম ও স্নানাগার একেবারে অপরিষ্কার ও ব্যাবহারের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। হাসপাতাল বিল্ডিং-এ বাথরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বে থাকা এজেন্সিকে ধমক দেন ও দ্রুত যাতে সমস্যা সমাধান করা যায় সেই বিষয়ে নির্দেশ দেন জেলাশাসক।