Teacher Transfer : বদলির পালটা বহু আবেদনই যুক্তিযুক্ত, মত শিক্ষাকর্তাদের – many applications for teacher transfer are reasonable said many officers


স্নেহাশিস নিয়োগী
প্রশাসনিক বদলি-র নামে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঢালাও বদলি করতে গিয়ে ফের বিপাকে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। বদলির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছে। অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে পরের শুনানিতে ব্যাখ্যা শোনার কথা কোর্টের। এ দিকে, দপ্তরের পাশাপাশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদেও গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে। এরই মধ্যে বদলির নির্দেশ পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাল্টা আবেদনের নথি খতিয়ে দেখে স্কুলশিক্ষা অধিকরণ বিভাগের কর্তারাই মানছেন, সেগুলির যথেষ্ট সারবত্তা রয়েছে।

Teacher Transfer : বদলি না মানলে শিক্ষকদের চাকরিতে ছেদ, বার্তা কোর্টের
বদলি-নির্দেশের বিরোধিতা করে জমা পড়া অভিযোগের ৪০ শতাংশকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এবং তাঁদের আবেদন যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য বলে মত বিকাশ ভবনের আধিকারিকদের। এ নিয়ে মামলা সামলাতেও বিড়ম্বনার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বিশেষত, অবসরের দেড়-দু’বছর আগে অন্য জেলার দূরবর্তী স্কুলে বদলি যে সরকারি সাধারণ সার্ভিস রুলের বিরোধী, সে কথাও স্বীকার করছেন তাঁরা। পাশাপাশি, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি হয়ে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এক-দেড় বছরের মাথায় ফের বদলি নিয়েও প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত বলে এঁদের মত।

প্রশ্ন উঠছে, বদলির সুপারিশের জন্য তা হলে এসএসসি-র কাছে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম পাঠানো হলো কেন? কর্তাদের একাংশের মতে, ছ’বছর ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নেই। করোনার পর স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকার অপ্রতুলতা প্রবল। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও পোষিত স্কুলে পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে কোর্ট।

Calcutta High Court : স্কুলে পড়িয়ে টিউশন? তিন মাসে ব্যবস্থা: কোর্ট
তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানান, নয়া নীতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জোর করে বদলি করা হচ্ছে, এমন বার্তা যেন না যায়। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা জানান, আদালতের নির্দেশেই গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাত দফা বদলি নীতি জারি হয়েছে। সেই বিধি মেনে কার্যকর হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি।

Teacher Recruitment : সুপ্রিম নির্দেশে স্কুলে ফিরছেন কর্মচ্যুতরা
যদিও বদলির জন্য ৬০৫ জন শিক্ষকের নাম এসএসসি-র কাছে সুপারিশ করেছিল স্কুল শিক্ষা কমিশনারেট। এর মধ্যে কমিশন কিছু শিক্ষকের সুপারিশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে পাঠিয়েছে। কিন্তু এখন গ্রীষ্মের ছুটি। তাই পর্ষদের তরফে নিয়োগপত্র ইস্যু করা বেশ কঠিন। গত বছরও গ্রীষ্মের ছুটি চলাকালীন কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলির সুপারিশ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিল পর্ষদ।

Recruitment Scam : কর্মচ্যুতদের স্কুলে ফেরানো নিয়ে আজ নালিশ সু্প্রিমে
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (ডিআই) বক্তব্য, গ্রীষ্মের টানা ছুটিতে স্কুল পরিচালন কমিটির বৈঠক করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগদানে সমস্যা আছে। গত বছর ছুটিতে যোগ দেওয়া বহু শিক্ষকের বেতন এখনও নিয়মিত হয়নি। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার বলেন, ‘আমরা সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের বদলির জন্য সরকারি প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *