এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাসস্থান ভেটাগুড়িতে মন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূলে ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ভেটাগুড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রতন বর্মন এবং তিনজন পঞ্চায়েত সদস্য সহ অঞ্চল নেতৃত্ব। গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাতে চলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। বুধবার রাতে ভেটাগুড়ি চৌপথিতে যোগদান অনুষ্ঠান কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তাঁরা। পাশাপাশি, ওই গ্রামের ২০০ টি পরিবার এদিন বিজেপিতে যোগ দেয় বলে বিজেপির দাবি। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় জোর শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ভেটাগুড়ি -১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রতন বর্মন বলেন, “জনগণ যেদিকে সেদিকেই আমরা যাব। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।” অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “প্রত্যাশামতো এদিন তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আগামীতে আরও বহু গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে আসবে। তবে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দিনহাটা -১ বি ব্লক সভাপতি অনন্ত বর্মন বলেন, “টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিশীথ প্রামানিকের নেতৃত্বে এই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করে।”
পরবর্তীতে নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে যোগ দিলে গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে আসে। এরপর ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অধিকাংশ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলে এই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এদিন ফের একবার গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে যাওয়ার পথে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নির্বাচনের মুখেই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাতে চলে যাওয়াটা শাসক শিবিরে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের পঞ্চায়েতে সমিতির এক সদস্য সহ তিনজন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি করা হয়। দিনহাটার গোসানিমারি কান্তেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন মাঠের একটি সভায় বিজেপিতে যোগ দেন তাঁরা। এই সভা থেকেই নিশীথ প্রামাণিককে বলতে শোনা যায়, আগামী দিনে গোটা জেলা জুড়ে এই যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। তারই প্রতিফলন ভেটাগুড়ির ঘটনা।