জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাম যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal), দল রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। ১২ ম্যাচে ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭৫ রান। চলতি আইপিএলে সর্বাধিক রানশিকারিদের তালিকায় তিনি দুয়ে। ৬০০ স্পর্শ করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলে চলেছেন ২১ বছরের উত্তরপ্রদেশের ব্যাটার। বিরাট কোহলির মতো ব্যাটিং মায়েস্ত্রো থ হয়েছেন যশস্বীর মতো প্রতিভায়। যশস্বীর জাতীয় দলে ঢোকা এখন সময়ের অপেক্ষা শুধু। এমনটাই মনে করছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ ও ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। গত বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens, Kolkata) রাজস্থান রয়্যালস ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে কেকেআরকে (KKR)। যশস্বী তাণ্ডব করলেন ইডেনে। ৪৭ বলে অপরাজিত থাকলেন ৯৮ রানে। অল্পের জন্য় পেলেন না সেঞ্চুরি। ৬২ মিনিটের প্রলয়তে তিনি ১২টি চার ও পাঁচটি ছয় মারলেন। ব্যাট করলেন ২০৮.৫১-এর স্ট্রাইক রেটে। যশস্বীর ব্যাটিংয়ে মোহিত হয়েছেন শাস্ত্রী।
আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে শাস্ত্রী বলেন, ‘জয়সওয়ালকে যারা দেখছে, তারা সকলে মোহিত হয়েছে ওর খেলা দেখে। অফ-সাইডে ও কিছু শট নিয়েছে, দেখার মতো। মাথা একদম স্থির। অনবদ্য ফুটওয়ার্ক। ২১ বছরের একটা ছেলে, অনেক লড়াই করে এসেছে। ও দ্রুত জাতীয় দলে ডাক পাবে। নির্বাচকরা দেখছেন যে ও কী করছে। তাঁদের ভালো লাগবে যে, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এরকম এক প্রতিভাকে তারা দেখবে। যে সব ফরম্যাটেই ভালো। সাদা বলের ক্রিকেটে, বিশেষত টি-২০ ফরম্যাটে ও জাতীয় দলে ঢুকবেই। প্রথমেই বেছে নেওয়া হবে ওর নাম। কী কঠিন লড়াই করেছে। আমরা সবাই ফুচকা খাই। ও দিনগুজরান করতে ফুচকা বিক্রি করত। ওর মানসিকতা সত্যিই ভীষণ শক্ত। আশা করব ও এভাবেই থাকুক। আশা করব ও সেরা গাইডেন্স পাক। মাটিতে পা থাকুক। ও কিন্তু ভুলে যাবে না, ওর সঙ্গে যা ঘটেছে। এটাই ওকে পুরস্কার দেবে। ওর কথা শুনলেও সতেজ লাগে। আমরা এই দেশে সেঞুরিতে আসক্ত। আইপিএল সেঞ্চুরি। আমার কাছে সবটাই গোল ও রান। ও খুশি হয়েছে যে, ভাবে শট নিয়ে দলকে জিতিয়ে ৯৮ রান করেছে। এটাই একটা গল্প বলে। আর এই ৯৮ রান যে কোনও ১০০ রানের মতোই ভালো। এটা সেঞ্চুরির চেয়ে বেশি।’
আরও পড়ুন: KKR VS RR | IPL 2023: চাহাল-যশস্বীর রেকর্ডের রাতে নাইটদের অসহায় আত্মসমর্পণ ইডেনে
ইডেনে যশস্বী ১৩ বলে ৫০ করেছিলেন। আইপিএলের দ্রুততম অর্ধ-শতরানকারী হিসেবে নিজের নাম লিখিয়ে ফেললেন ইতিহাসে। এর আগে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল কেএল রাহুলের। তিনি ১৪ বলে করেছিলেন ৫০। যশস্বীর আলোতেও উজ্জ্বল ছিলেন সঞ্জু। অধিনায়ক এদিন ২৯ বলে ৪৮ রানে ছিলেন অপরাজিত। রাজস্থানের কাছে ৯ উইকেটে হারের সঙ্গেই কেকেআরের কার্যত আইপিএলে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল। এই ম্যাচের আগে দুই দলেরই ছিল ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট করে। কলকাতা ছিল ছয়ে, রাজস্থান ছিল পাঁচে। কারণ রাজস্থানের নেটরানরেট ছিল প্লাসে। কলকাতার মাইনাসে। দুরন্ত জয়ের পর রাজস্থান ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুই ধাপ লাফিয়ে চলে এল তিনে। একে গুজরাত টাইটান্স ও দুয়ে চেন্নাই সুপার কিংস। অন্যদিকে নাইটরা এখন ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় সাতে। এক ধাপ নেমে গেলেন নীতীশরা!