উল্লেখ্য, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যেই সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাঁকুড়ায় সভা করার জন্য অনুমতি দেয়নি। এমনটাই অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল BJP। এদিকে, BJP গোটা বিষয়টি নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে পালটা দাবি তুলেছিল তৃণমূল।
এ প্রসঙ্গে, বাঁকুড়া জেলা BJP সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল জানান, পুলিশি অনুমতি না মেলায় সিমলাপালে শুভেন্দু অধিকারীর পূর্ব নির্ধারিত সভা ‘বাতিল’ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিমলাপাল রাজবাড়ি মাঠে সভা করার কথা ছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতার। সেই মতো যাবতীয় প্রচার ও প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল গেরুয়া শিবির। সমস্ত নিয়ম মেনে পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও পুলিশ অনুমতি দিতে টালবাহানা করছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
BJP রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এদিন বলেন, “পুলিশের এখন প্রধান কাজ BJP-কে আটকানো। BJP-র কর্মসূচী দেখে এ রাজ্যের শাসক দল আতঙ্কিত।” আগামী দিনে এর প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে বলে জানান তিনি।
হাইকোর্টের অনুমতি মেলায় এবার সিমলাপালের সভাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে রাজ্য BJP-র তরফে।
অন্যদিকে, গোটা বিষয়টিকে BJP অযথা রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করছে বলে অভিযোগ রাজ্য শাসকদলের। সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহ এ প্রসঙ্গে বলেন, “ওই সভায় লোক হবে না বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি BJP সভা বাতিল করেছে। শুভেন্দু অধিকারী এলেই বুঝতে পারতেন সিমলাপাল এলাকায় তাঁর দলের জনভিত্তি অনেক বেশি। পুলিশি অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি বলে BJP মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।”
অন্যদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের একটি গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় CID-র হাতে কেস ফাইল তুলে দিয়েছিল চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে CBI তদন্তের আর্জি জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। এদিকে, রাজ্য পুলিশের অভিযোগ, তিনিই রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্যের এই বক্তব্য লিখিত ভাবে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।