লেখেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জন সংযোগ যাত্রা গতকাল সাফল্যের সঙ্গে গোটা রাজ্যে ২০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। এই গর্বের মুহূর্তে আমি তাঁকে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই যাত্রায় রাজ্যের মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছেন তিনি। জনগণের আশীর্বাদ ও দৃঢ় সমর্থনের ফলে আমরা এই মাইকফলক অর্জন করেছি। আমাদের সংকল্প তৃণমূল স্তরে গনতন্ত্রকে শক্তিশালী করা। ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ মানুষের কাছে একটি প্রতিশ্রুতি। আমরা নিশ্চিতভাবে বলছি, বাংলা সাফল্যের নতুন শিখর অর্জন করবে।”
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হওয়া এই নব জোয়ার যাত্রায় অভিষেক একেবারে সামনের সারিতে থাকলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে একমাত্র মালদা জেলায় একটি কর্মসূচি বাদে আর কোথাও যোগ দিতে দেখা যায়নি। বিরোধীদের কটাক্ষ ছিল, মমতা নিজে পাশে সরে গিয়ে অভিষেককে জায়গা করে দিতে চাইছেন, তাই নিজে জন জোয়ার যাত্রায় উপস্থিত থাকছেন না।
তবে আজকের এই বড় অভিনন্দন বার্তার পর যে মুখ্যমন্ত্রী সব জল্পনা, কটাক্ষে জল ঢাললেন, একথাই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেনিয়ামের অভিযোগ উঠেছে।
একের পর এক অভিযোগে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমেই বেড়েছে। এর মধ্যেই জোর কদমে পঞ্চায়েত প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কোচবিহার জেলা থেকে শুরু হয়ে দীর্ঘ দু’মাস পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে শেষ হবেই কর্মসূচি। অভিষেকের এই কর্মসূচি ৬০ দিন ধরে চলবে।
গোটা কর্মসূচি চলাকালীন সবমিলিয়ে মোট ৬০টি অধিবেশন করা হবে। এই ৬০ দিনের ২৫০ টিরও বেশি জনসভা করবেন সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। অভিষেকের এই কর্মসূচি প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করবে।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচি চলাকালীন গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এই কর্মসূচির মধ্যে জায়গায় জায়গায় দেখা দিয়েছে বচসা, বিশৃঙ্খলা এমনকি আতাহাতি পর্যন্ত। যদিও এই ঘটনাগুলিকে কর্মীদের ‘অতি উৎসাহের পরিনাম’ বলেই মন্তব্য করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।