শুক্রবার বিকেলে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নজিরবিহীন রায় দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীরা বলেন, “অপ্রশিক্ষিতদের জোর করে টাকার বলে নিয়োগ করা হয়েছে। অপ্রশিক্ষিতরা যে বাদ হয়েছে, আমরা তাতে খুশি। আমরা চাই, প্রশিক্ষিত যাঁরা এখনও চাকরি পাইনি, তাঁদের দ্রুত নিয়োগ করা হোক।”
এক আন্দোলনকারীদের কথায়, “বেকার যুবকরা রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে মার খাচ্ছেন। আজ আমরা তার ফল পেলাম। আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, এবার যেন স্বচ্ছভাবে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়। সেটাই তাঁর কাছে আশা রাখব।” এমনকি, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ শুনেও খুশি আন্দোলনকারীরা।
২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১৬ সালে নিয়োজিত প্রায় ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি,বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য্যের থেকে অর্থ নিয়ে নতুন করে নিয়োগ করতে পারবে পর্ষদ।
পাশাপাশি, এও বলা হয়েছে বাতিল চাকরি প্রার্থীদের আগামী চার মাসের জন্য বেতন দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলে এই সব প্রার্থীরা পুনরায় পরীক্ষায় বসতে পারবেন। পাশাপাশি, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নতুন করে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।