এই মুহূর্তে মোকার অবস্থান ঠিক কোথায়?
ঘূর্ণিঝড় মোকা ইতিমধ্যেই শক্তিবৃদ্ধি করেছে। তা এই মুহূর্তে অবস্থান করছে কক্সবাজার থেকে ৯০০ কিলোমিটার এবং মায়ানমারের সিটি থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে।
মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তা এই মুহূর্তে অবস্থান করছে। মোকা উত্তর এবং উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে ও শক্তি বাড়াবে। ১৪ তারিখ তা উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলের মধ্য দিয়ে তা অগ্রসর হবে। সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ থেকে সর্বোচ্চ ১৭৫ কিলোমিটার।
মোকার কারণে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিন শুধুমাত্র আন্দামান বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ…
একদিকে মোকা অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৫ তারিখ বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহ হতে পারে। ১৬ তারিখও একাধিক জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। এই জেলাগুলি হল- পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ।
শনিবার স্বস্তির বৃষ্টি!
তীব্র গরমে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার। শনিবার থেকে বদলাতে পারে আবহাওয়া। লকাতা সহ উপকূলের কয়েকটি জেলায় শনিবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
উত্তরবঙ্গেও ১৪ এবং ১৫ তারিখ থেকে বৃষ্টি বাড়বে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। এছাড়াও আগামী ১৫ তারিখ মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে থাকছে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। উল্লেখ্য, আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রার বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশের উপর প্রভাব পড়তে পারে মোকার…
বাংলায় সরাসরি মোকার কোনও প্রভাব না পড়লেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়তে পারে, জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কক্স বাজার সংলগ্ন এলাকার উপর দিকে এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে যেতে পারে।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বন্দরগুলির ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ১৪ তারিখ মোকা আছড়ে পড়তে পারে, এমনটাই বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন।