এর অর্থ, আগুন নিয়ে আমরা যেন না খেলি। এক নজরে শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা অভিযোগ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজভবন। কিন্তু সেই বিবৃতি বিস্তারিত পড়লেই বোঝা যাচ্ছে আসলে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় কী কী করা উচিত তারই পরামর্শ এটি। পাঁচ পাতার উপদেশনামায় বিশদে বলা হয়েছে, বাংলার বাসিন্দারা আগুন থেকে সাবধান হবেন কী করে।
রাজভবন তিনটি ভাগে আগুনের হাত থেকে বাঁচার উপায় জানিয়েছে জনগণকে- প্রতিরোধ, প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকার। প্রতিরোধ অর্থাৎ আগুন যাতে না লাগে তার ব্যবস্থা। রাজভবনের মতে, ‘সমাধানের চেয়ে সাবধানতা ভাল।’ প্রতিক্রিয়া অর্থাৎ আগুন লাগলে কী করতে হবে। রাজভবনের পরামর্শ ‘ভয় পাবেন না, শান্ত থাকুন’। এবং শেষে প্রতিকার অর্থাৎ অগ্নিকাণ্ডের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী করতে হবে।
গতে বাঁধা এই উপদেশের মধ্যে আলাদা করে যা নজর কেড়েছে, তা হল কী কী ভাবে আগুন লাগতে পারে তার ১০টি ব্যাখ্যা। আগুন লাগার সেই ১০ কারণের চতুর্থটি হল অগ্নিসংযোগ। রাজভবন লিখেছে, ইচ্ছে করেও আগুন লাগাতে পারেন কেউ। নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে। এমনকী, বিমার টাকা পাওয়ার জন্যও এমন করতে পারেন কেউ।
আবার না জেনে ভুল করে আগুন লাগানোকেও একটি কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই পরামর্শ? নির্দেশিকায় অবশ্য তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। বুধবার রাজভবনের অদূরে বিবাদী বাগ চত্বরে একটি অফিসে আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবন ছেড়ে রাস্তাতেও বেরিয়ে আসেন। এদিনের উপদেশনামাটি সেই অগ্নিকাণ্ডেরই প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন অনেকে।