Sandakphu Trek: মাত্রাতিরিক্ত তুষারপাতে বারবার ধস সিকিমে, নিরাপদ বাংলার সান্দাকফু? – sandakphu landslide prone or not explained by iit kharagpur professor


গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গে বেড়েছে ভূমিকম্প-ধসের ঘটনা। সিকিমে এপ্রিল মাসে তুষারধসের ঘটনাও ঘটেছে। তাতে মৃত্যুও হয়েছে। খানিক ভয় বেড়েছে পর্যটকদের মধ্যে। উত্তর ভারত-নেপাল সীমান্তে সান্দাকফু, উচ্চতা প্রায় ১১ হাজার ফুট। বাঙালির অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন তো বটেই সঙ্গে যাঁরা ট্রেক করতে ভালোবাসেন অনেকের হাতেখরিও হয় ধোত্রে-টংলু-টুমলিং-সান্দাকফু ধরে। সেই সান্দাকাফু কি নিরাপদ না ধস থেকে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে? সম্প্রতি জোশীমঠের ঘটনা আরও ভয় ধরিয়েছে।

Snowfall In Sandakphu : শ্বেত চাদরে মোড়া সান্দাকফু

ব্রিটিশদের তৈরি শৈলশহরে দার্জিলিঙেও জোশীমঠের মতো ঘটনা ঘটতে পারে কি না তা নিয়ে নানামহলে নানা কথা ওঠে এসেছে। সব পক্ষেরই মতামত, সতর্ক না হলে অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে। কালিম্পং, কার্শিয়াং-সহ দক্ষিণ-পশ্চিম দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চল ধসপ্রবণ বলে মনে করছে ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (জিএসআই)৷ শুধু দার্জিলিংই নয়, লাগোয়া প্রতিবেশী পার্বত্য রাজ্য সিকিমের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ভূখণ্ড জুড়ে রয়েছে এই প্রবণতা৷ জিএসআইয়ের তৈরি করা ‘জাতীয় ধসপ্রবণ মানচিত্রে’এই তথ্য উঠে এসেছে৷ ২০১৭-১৮ সালেই এই তথ্য ওঠে আসে ।

Trekking Places : ট্রেকিংয়ে গিয়েও গাইড পাবেন পর্যটকরা! পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের
তারপর যদিও বারবার ধস, ভূমিকম্প বুঝিয়ে দিয়েছে ভয়ের অনেক কারণই আছে। তবে ভয় বাড়িয়েছে সিকিমও। সিকিমের নাথুলায় ভয়াবহ তুষারধস হয় এপ্রিল মাসেই। সাত জনের মৃত্যু হয়। বহু পর্যটক আটকে পড়ে,উদ্ধারকাজে নামতে হয় সেনাকে।

sandakphu

সন্দাকাফুর পথে, নিজস্ব চিত্র।

খড়গপুর আইআইটির ভূ-তত্ত্ব ও ভূ-পদার্থবিদ্যায় অধ্যাপক শঙ্করকুমার নাথ এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘দার্জিলিং যথেষ্টভাবে ভূমিকম্পপ্রবণ। এই নিয়ে আমরাও গবেষণা করছি, একই অবস্থা সিকিমেরও। বার বার এই জায়গাগুলিতে ভূমিকম্প হবে, ধসের মতো ঘটনা ঘটনা।’ আর সান্দাকফু বলেন? অধ্যাপক বলেন, ‘সান্দাকফু অপেক্ষাকৃত কম ধসপ্রবণ। ’

Nathula Snowfall : মে মাসে তুষারপাত! ভিড় বাড়ছে নাথুলায়
প্রসঙ্গত, সান্দাকফুতে গত কয়েক বছরে ছোটখাটোর ধসের ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তাঘাটও। ট্রেকিং রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকরাও ট্যুর বাতিল করছে। তবে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দার্জিলিঙের আশেপাশে যেমন জঙ্গল ধ্বংস করে ব্যাঙের ছাতার মতো হোম-স্টে গড়ে ওঠেছে সেই প্রবণতা এইদিকটায় কম, তাই আপাতত রক্ষে!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *