জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: দুপুরের পর থেকে সময় যত গড়িয়েছে ততই হুহু করে বেড়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব। সন্ধে পৌনে সাতটা নাগাদ কর্নাটক বিধানসভা ভোটের ফলাফলে প্রায় কোণঠাসা বিজেপি। ২২৪ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ১২৬ আসন। সেখানে বিজেপি দাঁড়িয়ে রয়েছে ৬০ আসনে। ভোটের ফলাফল দেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ডবল ইঞ্জিনের সরকার নয়, ট্রাবল ইঞ্জিনের সরকার। আর মমতা বললেন, ইমেজ বলে ওদের আর কিছুই নেই। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে ওরা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে।
আরও পড়ুন-রাহুলের অরুণোদয়! দক্ষিণ হাতছাড়া মহীরুহ মোদীর…
শনিবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন সলমান খান। তাঁকে স্বাগত জানাতে বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ান মমতা। ওই সাক্ষাতকার শেষে সলমানকে বিদায় জানাতেও বাড়ির বাইরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি কর্নাটক ভোটের ফল নিয়ে কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওদের ঔ্ধত্য,অহংকার, এজেন্সি রাজনীতির বিরুদ্ধে নো ভোট টু বিজেপি হয়েছে। কর্নাটকের মানুষকে স্যালুট করি। কুমারস্বামীজিও ভালো করেছেন। ছত্তীসগড় ও মধ্যপ্রদেশেও ভোট হবে। আমি মনে করি ওই দুই জায়গাতেও বিজেপি হারবে। বিজেপির শেষের শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যোগী রাজের অত্য়াচার রয়েছে। মানুষ সেখানে সন্ত্রস্ত। বিরোধীরা সেখানে দুর্বল। দক্ষিণের দিকে তাকালে কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ুতে তারা নেই।
মানুষ কেন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে? মমতা বলেন, মানুষ কেন ওদের ভোটে দেবে? সবাইকে তদন্ত এজেন্সিগুলির মুখোমুখি হতে হয়েছে। যারা ক্রিমন্যাল তাদের নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। সংবাদমাধ্যমকে বলছে কোনটা দেখাতে হবে, কোনটা নয়। সাংবাদিকদের জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তব হলে এভাবে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ওদের একজনই শাসক, একটাই নীতি, একটাই উদ্দেশ্য। এটা মানুষ মেনে নেবে না। তাই বাংলা যে পথ দেখিয়েছিল, বেঙ্গল থেকে বেঙ্গালুরু মানুষ যে রায় দিয়েছে তাতে বোঝা গিয়েছে ইমেজ বলে কিছু হয় না, যতই সাজো। আগামী নির্বাচনগুলিতে বিজেপির হার একবারে নিশ্চিত। দেশের দু-একটা জায়গা ছাড়া বিজেপির আর জেতার জায়গা নেই। এখন মানুষ বদল চাইছে। দেশকে বাঁচাতে গেলে এখন স্লোগান হল বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও।
কংগ্রেসের জয়ের খবর আসতেই এদিন একটি ট্যুইট করে কংগ্রেসকে স্বাগত জানান মমতা। লেখেন, পরিবর্তনের পক্ষে নির্ণায়ক জনাদেশের জন্য কর্নাটকের জনগণকে প্রণাম। একনায়কন্ত্র ও সংখ্যাগরিষ্ঠবাদী রাজনীতি পরাজিত হয়েছে! মানুষ যখন বহুত্ববাদ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে জয়ী করতে চায়, তখন আধিপত্য বিস্তারের কোনও কেন্দ্রীয় শক্তি তাদের স্বতঃস্ফূর্ততাকে দমন করতে পারে না। এটাই নীতিকথা এবং আগামীর জন্য শিক্ষা।
মমতার ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যা বলেন, এখন মানুষ জানতে চায় ওদের লুঠ, স্বেচ্ছাচারিতার কারণ রাজ্যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গেল। এনিয়ে ওঁর মত কী? কী করবে রাজ্য সরকার। তাঁদের দুর্নীতির জন্য কিচু লোকের জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছে। আমরা জীবনে অনেক হার দেখেছি। ২০১৯ সালে ৩ রাজ্যে কংগ্রেস জিতেছিল। তখন উনি বলেছিলেন বিজেপি শেষ। ওঁর রাজ্যে বিজেপি লোকসভায় কতগুলো আসন পেয়েছে? ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট দিল্লির লালকেল্ল থেকে আবার জাতিকে সম্মোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী।