কোনও পর্যটক যাতে সমুদ্র না নামতে পারে, সেই কারণে সেখানে নজরদারি চলছে। তাসত্ত্বেও লুকিয়ে-চুরিয়ে কিছু পর্যটক সমুদ্রে নেমে পড়ছে। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র থেকে উঠে যেতে বলছে দায়িত্বে থাকা নুলিয়ারা। ঘূর্ণিঝড় মোকার দিঘায় কী প্রভাব পড়ে, সেই দিকে সকলের নজর রয়েছে।
কিন্তু দিঘার সমুদ্র নামতে না পারার কারণে মন খারাপ অনেকের। সপরিবারে দিঘায় গিয়েছেন হাওড়া আমতার বাসিন্দা অভিজিৎ রায়চৌধুরী। সমুদ্রে নামতে না পারার আক্ষেপের কথা জানালেন তিনি। ওই পর্যটক বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে দিঘায় এসেছি। আমার পাঁচ বছরের ছোটো মেয়ে এই প্রথম দিঘায় এসেছে। ভেবেছিলা ওকে নিয়ে সমুদ্র স্নান করতে নামব। কিন্তু এখানে এসে শুনলাম ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে প্রশাসন এখানে কাউকে নামতে দিচ্ছে না। সেই কারণে একটু মন খারাপ আর কী। কাল অবধি এখানে রয়েছি। দেখা যাক পরিস্থিতির যদি কোনও বদল হয়।’
বন্ধুদের দল নিয়ে শনিবার সকালে দিঘা পৌঁছেছেন যাদবপুরের মানালি রায়। সমুদ্র নামার সুযোগ না পেয়ে মন খারাপ তাদেরও। মানালি বলেন, ‘আমার ছোটোবেলার তিন বন্ধু মিলে আজ সকালের দিঘাতে এসেছিল। চুটিয়ে মজা করব ভেবেছিলাম। কারণ সামনেই আমার বিয়ে। কিন্তু, এমনটা হবে বুঝতে পারিনি। কী যে মন খারাপ লাগছে।’
প্রশাসন সূত্রে খবর, ১২ ও ১৩ মে পর্যটকদের সমুদ্র নামতে নিষেধ করা হয়েছে। দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি সহ বিভিন্ন সি বিচে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে দিঘাতে কমেছে পর্যটকদের সংখ্যাও। দিঘা-শংকরপুর হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অনেকেই হোটেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তাঁদের ব্যবসা ধাক্কা খেল বলেই মনে করা হচ্ছে।