শনিবার সাত সকালে খড়গপুর শহরে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে ২০১৪ সালে প্রাথমিকে অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগের বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। তিনি বলেন, “৩৬ হাজার যে পোস্ট অপ্রশিক্ষিতরা পেয়েছিল, সেটা টাকা দিয়ে। যদি দশ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়, তাহলে ৩৬০০ কোটি টাকা লুট হয়েছে। সব তৃণমূলের নেতারাই করেছে।
এমনকি যারা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন বলে দিলীপ দাবি করছেন, তাদের শুধু চাকরি বাতিল করাই নয়, উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারেও আর্জি জানান দিলীপ। তাঁর কথায়, “এদের শুধু পোস্ট বাতিল করলে হবে না, কাকে টাকা দিয়েছে সেই ডাকাতদের সামনে আনতে হবে। তাদেরকে সাজা দিতে হবে। না হলে তারা আবার লোককে ধোকা দেবে।”
দিলীপের কথায়, একটা যুগ পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। যত দুর্নীতি হয়েছে সব দায় মুখ্যমন্ত্রীর বলে দাবি করেন তিনি। নৈতিকতার খাতিরে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত, এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকা উচিত নয় বলে দাবি দিলীপের।
পাশাপাশি, দিলীপ এদিন জানান শুক্রবার তিনটি রায় এসেছে সরকারের বিরুদ্ধে। দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ এবং সর্বোপরি রাজ্যে প্রাথিমিক শিক্ষক পদে অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ বাতিলের বিষয়টি নিয়েও সরকারের বিরুদ্ধে রায় যায়। একের পর এক সরকারের বিরুদ্ধে রায় আসায় বিচারপতিদের টার্গেট করছেন তৃণমূল নেতারা বলেও অভিযোগ করেন দিলীপ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা নিয়ে ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ বাতিলের ব্যাপারে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী চার মাস তাঁরা পার্শ্ব শিক্ষকদের ন্যায় বেতন পাবেন বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের চূড়ান্ত আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও নিয়োগে কোনও অস্বচ্ছতা নেই বলে দাবি বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির।