বিজেপির হারের কারণ বিশ্লেষণে অভিষেকের মুখে ফের উঠে আসে বাংলায় তৃণমূলের বিজয়ের কথা। কংগ্রেসের জনপ্রিয়তাকে সিকিভাগও গুরুত্ব না দিয়ে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি যে বাংলা যে পথ দেখিয়েছিল কর্নাটকের মানুষ তা অনুসরণ করেছে। ধর্মের রাজনীতিকে বাংলাই প্রথম প্রত্যাখান করেছে এখন ভারতের মানুষও তা বুঝছে। কোনও ধর্মের সুড়সুড়ি, বিচ্ছিন্নবাদের রাজনীতি, মানুষ কী পরবে মানুষ কী খাবে, লাভ জেহাদ এগুলো রাজনীতি হতে পারে না। রাস্তা, শিক্ষা, মানুষের উন্নয়ন এগুলোর রাজনৈতিক বিষয়। কিন্তু কোনও বিজেপি নেতাদের মুখে এটা শোনা যায় না। এদের পতন শুরু হয়ে গিয়েছে।
একইসঙ্গে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন থিয়োরির সমালোচনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ”ডবল ইঞ্জিন সরকারের ভাঁওতা সবাই বুঝতে পারছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার মণিপুরে, তাহলে সেখানে আগুন জ্বলছে কেন?”
এমন জয়ের দিনেও কংগ্রেসকে গুরুত্ব না দিয়ে উলটে অধীর চৌধুরীর সমালোচনা শোনা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তিনি বলেন, ”নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের কথা না ভাবতে পারলে তাঁর রাজনীতিতে থাকা উচিতই না। আমরা জানতাম, কর্নাটকে বিজেপির সবথেকে বড় বিরোধী কংগ্রেস, তাই আমরা সাধারম মানুষের কাছে কংগ্রেসকে সমর্থন করার আপিল করেছিলাম। এবার একই জিনিস যদি অধীর চৌধুরী বুঝতে না পারেন, তিনি যদি লাগাতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে চলেন তাহলে বুঝে নিতে হবে তিনি বিজেপির হাত শক্ত করছেন। এটা মানুষই বলছেন। যদি কেউ বিজেপির লাভ করতে চান, তাই তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন বলতে হবে।”