কারণ, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর জন্য ফি দেওয়ার টাকাটুকুও নাকি তাঁর নেই। শুক্রবার এমনই দাবি করেছেন কুন্তল এবং তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষ। একই সঙ্গে এ দিন কুন্তলের আইনজীবী আলিপুর আদালতের বিচারককে জানান, “স্যার, ইনফর্মালি আপনাকে বলছি, আমার মক্কেলের স্ত্রীর এমন অবস্থা হয়েছে যে তাঁকে কেউ ঘরভাড়া পর্যন্ত দিতে চাইছেন না।”
পরে কুন্তলের স্ত্রী জানান, হুগলির বলাগড় থেকে আদালতের তারিখ অনুযায়ী তাঁকে আসতে হচ্ছে। তাঁর বড় মেয়ের বয়স ৬, ছোট ছেলের বয়স আরও কম। তাদের অসুস্থ শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে রেখে আসতে হচ্ছে।
লম্বা রাস্তা পেরিয়ে আসতে হচ্ছে বলে তিনি চেয়েছিলেন কলকাতা বা আশেপাশের কোথাও যদি ঘরভাড়া নেওয়া যায়। কারণ, নিউটাউনে যে ফ্ল্যাট তাঁদের ছিল ইতিমধ্যে টাকার অভাবে তাও ছেড়ে দিতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক জায়গা ঘরভাড়া খুঁজেও তিনি পাননি।
কেন? জয়শ্রীর কথায়, “আমার স্বামীর নাম কুন্তল ঘোষ শুনেই কেউ আমাকে ঘরভাড়া দিতে চাইছেন না। হাওড়াতে একটা বাড়ি ঠিক করলাম। তিন মাসের অ্যাডভান্সও দিলাম। কিন্তু তারপরও আমাকে টাকা ফেরত দিয়ে বাড়িওয়ালা বলছেন, ঝামেলা মিটিয়ে নিন তারপর ঘর ভাড়া নেবেন।” স্ত্রী পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কুন্তলের আর্তি, “প্লিজ আপনারা লিখুন।”
কিন্তু সিবিআইয়ের দাবি, কুন্তলের এই অবস্থার জন্য তাঁরা মোটেই দায়ী নন। বরং কুন্তলই নিজের ভবিষ্যৎ এ ভাবেই রচনা করেছেন। তিনি যদি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত না থাকতেন তাহলে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা অন্য কিছু বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজনই পড়ত না।
একই সঙ্গে তাঁরা জানান, কুন্তল ঘোষের বিপুল সম্পত্তির হিসেব তাঁরা পেয়েছেন। যদিও এর আগেও ইডি-সিবিআইয়ের এই সম্পত্তি সংক্রান্ত দাবি উড়িয়ে কুন্তল বলেছিলেন, “আমার কোথায় সম্পত্তি আছে তার তালিকা প্রকাশ করা হোক।”