Cyber Crime : ব্যবসায় মন্দা, মেলে কর্মীদের সাহায্য চেয়ে প্রতারণার ফাঁদ! – cybercriminals try to get money by fraud trap in kolkata


এই সময়: টেস্ট ক্রিকেটের মতো নয়, টি-২০ ধাঁচে চার-ছয় মেরে এক লপ্তে বিপুল টাকা হাতাতে নানা উপায়ে ফাঁদ পাতছে সাইবার অপরাধীরা। যে সব কোম্পানির উপরে সাধারণ মানুষ এবং কর্মচারীদের আস্থা প্রভূত, এমন সংস্থাগুলিকে এ বার টার্গেট করে প্রতারণা ঘটছে বলে সতর্ক করল লালবাজার। দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী ব্যাটারি প্রস্তুতকারী সংস্থা সাইবার অপরাধীদের খপ্পরে পড়েছিল। কোম্পানির শীর্ষ কর্তার ই-মেল অ্যাকাউন্টের অনুকরণে কলকাতায় তো বটেই, দেশের নানা প্রান্তের অফিসকর্মীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠানো হয়।

Cyber Crime : পাসপোর্ট হোক বা বন্ধুত্ব, প্রতারণার ফাঁদ পাতা সর্বত্র
ওই ই-মেল বার্তায় লেখা ছিল, ‘ব্যবসার কারণে হঠাৎ টাকার প্রয়োজন। সাধ্যমতো সাহায্য করুন। টাকা দ্রুত রিফান্ড করে দেওয়া হবে।’ ইনবক্সে শীর্ষকর্তার আবেদনে কর্মচারীরা সাহায্যের জন্যে ভাবতেও শুরু করেন। যাঁর নাম করে এমন বার্তা পাঠানো হয়েছিল, ঘটনাচক্রে তিনি বিষয়টি জানতেন না। দ্রুত কোম্পানির তরফে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পর গোয়েন্দাদের পরামর্শে পাল্টা ই-মেল করে জানানো হয়, ওই মেলটি ভুয়ো। কেউ যেন লিঙ্কে ক্লিক না করেন। ওই কোম্পানির কর্মচারীদের টাকা খোয়া যায়নি। তবে কী ভাবে কোম্পানির শীর্ষকর্তার ই-মেল অ্যাকাউন্ট নকল করে এত কর্মচারীর কাছে মেল পাঠানো হলো, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।

Bardhaman News : ছেলেকে শিশু চিকিৎসক দেখাতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে আইনজীবী
টাটা পাওয়ার কোম্পানির নামেও প্রতারণার কারবার ঘটেছে বলে জানাচ্ছে লালবাজার। ওই কোম্পানিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের থেকে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারকরা। ওই ঘটনাতেও কোম্পানির লোগো এবং নথিপত্র হবহু নকল করা হয়েছিল। ফাঁদে পড়েছিলেন কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা অরবিন্দ দেবনাথ। তিনি গত বছর অগস্টে টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, একটি অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে কাজের জন্যে আবেদন করেছিলেন। এর পর তাঁর সঙ্গে এক ব্যক্তি ফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কাজ পেতে হলে নানা রকমের নিয়ম রয়েছে। কথার জালে প্রতারিত ব্যক্তি ধাপে ধাপে ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে দেন। তাঁকে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছিল।

Cyber Crime: হোয়াটস অ্যাপে অশ্লীল ছবি-কুরুচিকর মন্তব্য, বাড়িভাড়ার খোঁজ করতে গিয়ে ‘নরকদর্শন’ তরুণীর
ঘটনার তদন্তে অভিযুক্ত সুমিতকুমার ভগৎকে ঝাড়খণ্ডের গান্ধীনগর এলাকা গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, অরবিন্দর টাকা গিয়েছে খড়গপুরের বাসিন্দা শিবপ্রসাদ দাসের অ্যাকাউন্টে। তদন্ত এগোতে আরও জানা যায়, ওই অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা ডিপোজিট হয়েছে বিভিন্ন জনের অ্যাকাউন্ট থেকে। খড়্গপুরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি বাড়ির ছাদে জলের ট্যাঙ্কের ভিতরে লুকিয়ে পড়েন। তাঁকে শেষ পর্যন্ত ধরা সম্ভব হয়। কলকাতায় এনে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করা হয়। বিচারক ২১ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *