অয়ন ঘোষাল: অতি শক্তিশালী প্রবল ঘুর্নিঝড় হিসেবেই ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে এগারোটার সময় মায়ানমারের সিত্যে সমুদ্র বন্দর লাগোয়া এলাকায় ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু করল মোকা। প্রক্রিয়া চলবে আড়াই ঘন্টা। এরপর মোকা দুই ভাগে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। একটি অংশ সোজা গিয়ে মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা সহ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুর, মিজোরামে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এর দ্বিতীয় অংশ ফের ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘূর্ণন আকারে আবার ফিরে আসতে পারে বাংলাদেশের টেকনাম, মহেশখালি বা সেন্ট মার্টিন উপকূলের দিকে। ল্যান্ডফল শুরুর সময় এর গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৯০ কিলোমিটার। সে সময় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ২১০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: Birbhum: প্রাথমিকে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের, উঠছে প্রশ্ন
মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকার দ্রুত শক্তি বাড়ানোর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ অবশ্যই বঙ্গোপসাগরের গরম জল। সাধারণত, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের জলতলের তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে হয়। জলতলের ৪ মিটার নীচে পর্যন্ত এই তাপমাত্রা থাকা জরুরি। মোকা যে পথে এগিয়েছে, সেই মধ্য বা পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে কোথাও কোথাও জলতলের তাপমাত্রা ৩১-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছিল’।
ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রের জল থেকেই জ্বালানি খুঁজে নেয়। তাই মোকার ক্ষেত্রে সেই জ্বালানির বিন্দুমাত্র ঘাটতি হয়নি। ঘটনা হল, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব জুড়েই তাপমাত্রা বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে সমুদ্রের জলেও। যত গরম জল, তত তীব্র ঘূর্ণিঝড়। এই নিয়মেই অতি প্রবল বা সুপার সাইক্লোন হয়ে উঠল মোকা।
আরও পড়ুন: DA Protest: আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
পশ্চিমবঙ্গে মৎস্যজীবীদের জন্য শুধুমাত্র সতর্কবার্তা রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।
রবিবার উপকূলে মেঘলা আকাশ হালকা বাতাস এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদিয়া জেলায়।