এই সময়: রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগের দায়িত্ব এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার ফলে মোটা টাকার বিনিময়ে তারা লোক ঢুকিয়েছে, এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র। শনিবার সেই দুর্নীতির বিষয়ে মুখ খুললেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ দিন তিনি বলেন, ‘সবাইকে অসৎ ভাবাটা ভুল। কোর্টের রায় নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
তবে ব্যাপারটা কী, তা আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। বিভিন্ন পুরসভায় কিছু নিয়োগ হয়েছে। সেটা কেন এজেন্সিকে দিয়ে করানো হয়েছে, সেটা আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি।’ সেই সঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘পুর দপ্তরের নিয়োগের বিষয়ে আদালত যদি চায়, তা হলে আমরা নিশ্চিত ভাবে সেই তথ্য দেবো।’
তবে ব্যাপারটা কী, তা আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। বিভিন্ন পুরসভায় কিছু নিয়োগ হয়েছে। সেটা কেন এজেন্সিকে দিয়ে করানো হয়েছে, সেটা আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি।’ সেই সঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘পুর দপ্তরের নিয়োগের বিষয়ে আদালত যদি চায়, তা হলে আমরা নিশ্চিত ভাবে সেই তথ্য দেবো।’
যে সব পুরসভার নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে রয়েছে উত্তর দমদম, কামারাহটি। কোন প্রয়োজনে নিয়োগের জন্য এজেন্সিকে যুক্ত করা হয়েছিল, তা জানতে অভিযুক্ত পুরসভাগুলো থেকে নথি চাওয়ার জন্য পুর দপ্তরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে পুরমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে অনুসন্ধান দ্রুত শেষ করার কথাও বলা হয়েছে পুরসচিবকে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পুরসভায় গ্রুপ-ডি ছাড়া বাকি সব নিয়োগ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে হয়। কেবল গ্রুপ ডি-কর্মীদের সরাসরি নিয়োগ করে পুরসভাগুলো। সেই জন্য জেলাশাসককে মাথায় রেখে একটি কমিটিও তৈরি করার কথা বলা হয়েছে সরকারি নিয়মে। তার পরেও নিয়োগে কেন এজেন্সিকে যুক্ত করা হলো, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।